বিশ্বজুড়ে চলমান করোনাভাইরাস মহামারী থাকুক আর না থাকুক, আগামী বছর নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী টোকিও অলিম্পিক আয়োজনের নিশ্চয়তা প্রদান করেছেন আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির (আইওসি) সহ-সভাপতি জন কোটস। বিশ্বযুদ্ধ ছাড়া এখনো পর্যন্ত অলিম্পিক বাতিলের কোনো ইতিহাস নেই। কোটস এ প্রসঙ্গে বার্তা সংস্থা এএফপির সাথে এক টেলিফোন সাক্ষাতকারে বলেছেন, তারা আগামী বছর পুনঃনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী টোকিও অলিম্পিক আয়োজনে বদ্ধপরিকর।
২০১১ সালে জাপানে উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এলাকায় ভয়াবহ ভূমিকম্প ও সুনামির উদাহরণ দিয়ে কোটস বলেন, ‘গেমস অনুষ্ঠিত হবে। জাপানের অতীত ইতিহাস থেকে বলা যায় ভয়াবহ প্রাকৃতির বিপর্যয়ের পরেও গেমস নতুনভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা এখন সুড়ঙ্গের শেষ মাথায় একবিন্দু আলো দেখছি, কোভিড সত্বেও তাই গেমস আয়োজনে আমরা প্রস্তুত।’
এক ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের পর বিশ্বজুড়ে করোনা মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ায় ২০২০ অলিম্পিক এক বছর পিছিয়ে ২০২১ সালের ২৩ জুলাই আয়োজনের তারিখ নির্ধারিত হয়। কিন্তু জাপানের সীমান্তগুলো এখনও ব্যপক আকারে বিদেশিদের ভ্রমণের জন্য বন্ধ রয়েছে। সে কারণেই আশঙ্কা করা হচ্ছে ভ্যাকসিন না আসলে আগামী বছরও এই গেমস আয়োজিত হবে কিনা।
জাপানি আয়োজক কমিটি অবশ্য স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে তারা আর গেমসের তারিখ পেছাবে না। সাম্প্রতিক এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে শতকরা মাত্র চারজন মানুষ আগামী বছর গেমস আয়োজনের পক্ষে তাদের ভোট দিয়েছেন। বাকিরা গেমস বাতিলের পক্ষে ভোট দিয়ে জানিয়েছে কোনোভাবেই এতবড় আয়োজন করা জাপানের পক্ষে সম্ভব নয়।
কোটস বলেন, ‘কোভিডের আগে আইওসি সভাপতি থমাস বাখ বলেছিলেন এ পর্যন্ত দেখা সবচেয়ে সেরা আয়োজন হচ্ছে জাপানে। ভেন্যুগুলো নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রায় প্রস্তুত হয়ে গেছে। গেমস ভিলেজসহ ট্রান্সপোর্ট সুযোগ সুবিধা অসাধারণ। এখন গেমস বাতিল হয়ে যাওয়ায় নতুন করে আবারো সব শুরু করা বেশ কঠিন। প্রায় ৪৩টি হোটেলের সাথে ইতোমধ্যেই চুক্তি বাতিল হয়ে গেছে, পৃষ্ঠপোষক, সম্প্রচার স্বত্ত্বেও সাথে চুক্তি এক বছর বৃদ্ধি করা হয়েছে। এতে খরচও কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।’
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।