জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীন গনমাধ্যম প্রসারে গনতন্ত্র সুসংহত হয়। এর মাধ্যমেই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলা সম্ভব। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনের মাধ্যমে নোয়াবের সদস্য সংবাদপত্রসমূহ নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তাদের কাজকে অনুপ্রাণিত করতে নোয়াবের সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগ অনন্য।
ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী হলে নিউজপেপার ওনার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) আয়োজিত ‘পঁচিশ পেরোনো নোয়াব-সদস্য সংবাদপত্র সম্মাননা ২০২২’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে স্পিকার আজ এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে পঁচিশ বছর পেরোনো নোয়াব সদস্য সংবাদপত্রসমূহকে সম্মাননা প্রদান করেন স্পিকার। নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বক্তব্য রাখেন।
স্পিকার বলেন, ২০২০ সাল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও ২০২১ সাল স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী হওয়ায় এই দুইটি বছর জাতীয় জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করতেন। নোয়াবের সদস্যগণ স্বাধীনতার পূর্বে ও পরে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন। ২৫মার্চ অপারেশন সার্চলাইটের খবর দেশ-বিদেশে প্রচারের উদ্যোগ নিয়েছিল সংবাদপত্র। দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক সংবাদের অফিস পুড়িয়ে দেয়া হয়েছিল। তাই, বাংলাদেশের ইতিহাসের সাথে নোয়াবের পথচলার ইতিহাস সম্পর্কযুক্ত।
তিনি বলেন, সংবাদপত্র জনগণের জন্য তথ্যভান্ডার। সুস্থ ও পরিশীলিত সমাজ বিনির্মাণে সংবাদপত্রের ভূমিকা অপরিসীম। বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন ও সত্য প্রকাশের মাধ্যমে জনসেবা নোয়াবের মূল লক্ষ্য। গনমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। বিশ্বায়নের যুগে সমগ্র বিশ্বের আনাচে-কানাচের খবর গনমাধ্যম আমাদের নিকট পৌঁছে দিচ্ছে। এক্ষেত্রে, দায়িত্বশীল ও নৈতিকতাসম্পন্ন সাংবাদিকতা অপরিহার্য। কেননা, মিথ্যা সংবাদ, ভুল তথ্য ও অপসাংবাদিকতা মানুষ তথা সমাজকে ভুল পথে প্রবাহিত করে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সংবাদপত্র সমাজের দর্পণ, তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়, একটি ভাল রিপোর্ট ক্ষমতাহীনকে ক্ষমতাবান করে এবং যারা কথা বলতে পারে না, তাদের পক্ষ হয়ে কথা বলে।
তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করবে, শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বের অনেক দেশে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্ট রয়েছে। তবে এর অপব্যবহার যাতে না হয়, এ ব্যাপারে তিনি সতর্ক থাকার আহবান জানান।
এছাড়া গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়াসহ সকল গণমাধ্যমকর্মীর নিরাপত্তা দেবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার সমালোচনাকে সমাদৃত করে। তিনি সামলোচনার পাশাপাশি সরকারের ভাল কাজ ও সাফল্যের রিপোর্টও গণমাধ্যমে প্রকাশের আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে মতিয়া চৌধুরী এমপি ও মাহবুব-উল আলম হানিফ এমপি উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদক তাসমিমা হোসেন, দৈনিক আজাদীর সম্পাদক এম এ মালেক, দৈনিক করতোয়ার সম্পাদক মোজাম্মেল হক, দৈনিক পূর্বকোণের সম্পাদক রমিজ উদ্দিন চৌধুরী, দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন, দৈনিক ভোরের কাগজের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক তারিক সুজাত, নোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাহফুজ আনাম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।