ধর্ষণে অভিযুক্ত ত্রিলোকচাঁদ (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে কেটে টুকরো টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দিয়েছেন ভুক্তভোগী কিশোরীর (১৪) বাবা।
সোমবার (২৮ মার্চ) ভারতের মধ্য প্রদেশের খান্ডওয়া জেলায় অজনল নদী থেকে ওই ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তিনি খান্ডোয়ার জেলার সক্তপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খান্ডোয়ার সাব ডিভিশনাল অফিসার রাকেশ পেন্দ্রো জানিয়েছেন, এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ত্রিলোকচাঁদের বিরুদ্ধে। তাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য সুযোগ খুঁজছিলেন কিশোরীর বাবা এবং মামা। শনিবার তারা কৌশলে ত্রিলোকচাঁদকে বাইকে বসিয়ে অজলন নদীর ধারে নিয়ে যান। সেখানে তারা ত্রিলোকচাঁদের মাথা ও দেহ টুকরো করে নদীতে ফেলে দেন। ত্রিলোকচাঁদকে খুন করার জন্য মাছ কাটার বঁটি ব্যবহার করা হয়েছিল বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের।
পুলিশের সাব ডিভিশনাল অফিসার রাকেশ পেন্দ্রো বলেন, তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে ওই ব্যক্তি ১৪ বছরের এক কিশোরীকে যৌন হয়রানি করেছেন। শনিবার কিশোরীর বাবা ও মামা অভিযুক্ত ত্রিলোকচাঁদকে মোটরসাইকেলে করে আজনাল নদীতে নিয়ে যান। পরে তারা তার মাথা ও শরীর খণ্ডিত করে ফেলেন।
তিনি জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তদন্ত করে জড়িত অন্যদেরও শনাক্ত করা হবে। নিহত ও অভিযুক্তরা আত্মীয় বলেও জানান তিনি।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।