বরিশালের গৌরনদীতে ৪৩ দিন বয়সের মেয়ের মরদেহ পুকুরে পাওয়ার সাত দিন পরে এই খুনের রহস্য বের করেছে পুলিশ। গৌরনদী পুলিশ জানায়, শিশুটির মাই তাকে গলাটিপে হত্যা করে পুকুরের পানিতে নিক্ষেপ করেছিলো ।
এই ঘটনায় পুলিশ ঘাতক মা সিমা বেগমকে (২৬) গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের বাদুরতলা উমেদআলী গ্রামের।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গৌরনদী মডেল থানার এসআই মোঃ হারুন-অর রশিদ আজ মঙ্গলবার সকালে জানান, কমলাপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন মেলকারের স্ত্রী সিমা বেগম তার শিশু কন্যা রুকাইয়াকে নিয়ে উমেদআলী গ্রামের বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে সিমার বাবার ঘর থেকে ৪৫দিন বয়সের শিশু কন্যা রুকাইয়া নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুজির পর বাড়ির পুকুর থেকে শিশু কন্যা রুকাইয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
এসআই আরও জানান, স্থানীয় গ্রামপুলিশের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করে প্রাথমিক তদন্তে পুরো বিষয়টি রহস্যজনক বলে মনে হয়। পরবর্তীতে শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়।
এ ঘটনার পর থেকে থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেনের নির্দেশে পুরো ঘটনাটি গভীরভাবে তদন্ত করা হয়। একপর্যায়ে শিশুটিকে হত্যার বিষয়টি স্পষ্ট হলে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়।
পরবর্তীতে সোমবার দুপুরে জেলা ডিএসবির সহকারী পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহত শিশুর গর্ভধারীনি মা সিমা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সোমবার রাতে ঘাতক সিমা বেগম তার শিশু কন্যা রুকাইয়াকে গলাটিপে হত্যার দায় স্বীকার করেন। সিমা জানিয়েছেন, তার কাছে নাকি জ্বীন আসে। তখন তিনি পৃথিবীর সকল কিছু ভুলে যান। যা কিছু হয়েছে জ্বীনের নির্দেশে হয়েছে বলেও সিমা বেগম স্বীকার করেন।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি মোঃ আফজাল হোসেন বলেন, এ ঘটনায় নিহত শিশুর বাবা দেলোয়ার হোসেনের অজ্ঞাতনামা আসামি করে দায়ের করা হত্যা মামলায় সিমা বেগমকে গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।