স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে শুরু হয়েছে জাতিসংঘের বহুল প্রত্যাশিত জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন কপ২৬। এতে অংশ নিতে এরই মধ্যে শহরটিতে পৌঁছেছেন বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। থাকছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনসহ শতাধিক দেশের সরকারপ্রধান। বিশ্বনেতাদের পাশাপাশি এবারের সম্মেলনে গ্রেটা থানবার্গ, স্যার ডেভিড অ্যাটেনবরোর মতো পরিবেশবাদীরা সবার নজরে থাকবেন। তবে এদের মধ্যেই জলবায়ু আলোচনায় বিশেষভাবে প্রভাব বিস্তার করতে পারেন পাঁচ নেতা। বিবিসির চোখে, ওই পাঁচ নেতার একজন হলেন ‘বিপদগ্রস্তদের কণ্ঠস্বর’ শেখ হাসিনা।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী প্রসঙ্গে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি বলছে, কপ২৬ সম্মেলনে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের পক্ষে আওয়াজ তুলবেন শেখ হাসিনা। জলবায়ু পরির্বনে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ৪৮টি দেশকে নিয়ে গঠিত এই ফোরাম।
শেখ হাসিনা একজন অভিজ্ঞ ও স্পষ্টভাষী রাজনীতিবিদ উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তিনি কপ২৬ সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তনের বাস্তব অভিজ্ঞতা তুলে ধরবেন। গত বছরও বাংলাদেশের প্রায় এক-চতুর্থাংশ বন্যার পানিতে তলিয়ে গিয়েছিল, যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় লাখ লাখ মানুষ।
কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ের বিশেষজ্ঞ ড. জেন অ্যালান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতো লোকেরা জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়ে মানবিক অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে পারেন, যা বিশ্বনেতাদের এই পরিবর্তনের বর্তমান চিত্র বুঝতে সাহায্য করবে।
বিবিসির মতে, জলবায়ু পরিবর্তনে ভুক্তভোগীদের বেশিরভাগ দরিদ্র দেশ হলেও তাদের সমঝোতা করার ইতিহাস বেশ শক্তিশালী। এসব দেশ নিজেদের অর্থনৈতিক শক্তির চেয়েও জোরালো আঘাত হানতে পারে বলে মনে করেন ড. অ্যালান।
তিনি বলেন, কারণ তাদের নৈতিক কণ্ঠস্বর শক্তিশালী এবং সিদ্ধান্তগুলো ঐকমত্যের ভিত্তিতে নেওয়া হয়। তারা জাতিসংঘের নিয়মের মধ্যে ভালো চুক্তি করতে সক্ষম।
এ ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলো এবারের সম্মেলনে একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্য কামরুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, বর্তমানে ১০০ কোটির বেশি মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকিতে রয়েছে। আমরা চাই, ধনী দেশগুলো প্যারিস জলবায়ু চুক্তি মেনে দ্রুত কার্বন নির্গমন কমাক এবং ক্ষতিগ্রস্তদের আর্থিক সহযোগিতা বাড়াক।
বিবিসির নজরে এবারের জলবায়ু সম্মেলনে শীর্ষ প্রভাব বিস্তারকারীদের মধ্যে বাকি চারজন হলেন চীনের শি জেনহুয়া, সৌদি আরবের আয়মান শাসলি, ব্রিটিশ মন্ত্রী অলোক শর্মা ও স্পেনের তেরেসা রিবেরা।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।