দেশে করোনাভাইরাসের টিকা উৎপাদন করে জনগণের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানির আশা করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আমাদের কথা দিয়েছে, করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি করতে যা যা সাপোর্ট প্রয়োজন তারা সেসব সাপোর্ট আমাদেরকে দেবে। এতে করে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন তৈরির পর বিদেশেও রপ্তানি করতে পারবে।’
বৃহস্পতিবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্র ‘ওয়েসিস’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সরকারের অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি গত এপ্রিল মাসে বিদেশি কোম্পানির তৈরি টিকা দেশি কোম্পানির মাধ্যমে উৎপাদনের নীতিগত অনুমোদন দেয়।
আগস্ট মাসে চীনা কোম্পানি সিনোফার্মের তৈরি করোনাভাইরাসের টিকা বাংলাদেশে এনে বোতলজাতকরণ ও সরবরাহের জন্য চুক্তি করে বাংলাদেশের কোম্পানি ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড।
ওই চুক্তির আওতায় চীন থেকে বাল্ক টিকা এনে বাংলাদেশে ভায়ালে ভরা এবং লেবেলিংয়ের কাজটি করবে ইনসেপ্টা। তাদের কাছ থেকে সরকার সেই টিকা কিনে নেবে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনে দুই দিনে ৮০ লাখ মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরে জাহিদ মালেক বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ এখনও এটা পারেনি। সামনে এক দিনে ৮০ লাখের বেশি ভ্যাকসিন দিতে পারব বলে আশা রাখি।’
করোনাভাইরাসের টিকার জন্য সরকারের প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যত টাকা লাগে লাগুক, বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে, যাতে করে সারাদেশে মানুষ সুরক্ষিত থাকতে পারে।
টিকাদানের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেক দেশের চাইতে এগিয়ে রয়েছে দাবি করেন জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আমরা প্রায় সাড়ে তিন কোটি মানুষকে করোনার টিকার প্রথম ডোজ দিয়েছি। প্রায় দুই কোটি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ দিতে সক্ষম হয়েছি।
মাদকাসক্তি নিরাময় ও মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্র ‘ওয়েসিস’ এর উদ্বোধন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে মাদকাসক্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ৫০ লাখ।
মাদক নিলেই যে মানুষ অপরাধী হয়ে যায় কথাটি সঠিক নয়। মাদককে ঘৃণা করতে হবে, মাদকাসক্তকে নয়। কেউ মাদকাসক্ত হলে তাকে চিকিৎসা দিয়ে ভালো করতে হবে।
পুলিশ মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আজিজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।