পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন আজ বলেছেন, সরকার রোহিঙ্গা নেতা মোহিব উল্লাহ’র হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এই ঘটনার পর তাৎক্ষনিক পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা কোথাও এ ধরনের ঘটনা (হত্যাকা-) চাই না।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সরকার ইতোমধ্যেই এই ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ততায় কয়েকজন সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে কাজ করছে। ২৯ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে মোহিব (৪৪) নিহত হন। রোহিঙ্গা নেতার এই হত্যাকা-কে দুঃখজনক উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মোহিব উল্লাহ্ রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
ড. মোমেন সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন যে- কেউ কেউ রাখাইনে নিজ ভূমিতে ফিরে যাবার জন্য মোহিব উল্লাহ্ আগ্রহকে পছন্দ নাও করে থাকতে পারে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যূত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ ভূমি মিয়ানমারে নিরাপদে ফিরে যেতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে মানব পাচারের পাশাপাশি অবৈধ অস্ত্র ও মাদক পাচারের কিছু প্রতিবেদনের কথা তুলে ধরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যেই এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তিনি বলেন, ‘আমরা বসে নেই। এগুলো বন্ধে আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করব।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আফগানিস্তানকে ঘিরে চলমান বৈশ্বিক সংকট সত্ত্বেও সদ্য সমাপ্ত জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে রোহিঙ্গা ইস্যুটিও বেশ ভালভাবেই আলোচিত হয়েছে।
২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশ ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার জেলায় আশ্রয় দিয়েছে। এদের অধিকাংশই মিয়ানমারে সেনাবাহিনীর দমন-অভিযান শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ এই নির্মম ঘটনাকে ‘জাতিগত নিধনের প্রকৃষ্ট উদাহরণ’ এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংগঠনগুলো ‘গণহত্যা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
বিগত চার বছরে একজন রোহিঙ্গাও তাদের দেশে ফিরে যায়নি। যদিও মিয়ানমার তাদের ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছিল।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।