দেশের ৯৯.৫ ভাগ এলাকা বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, ‘সাশ্রয়ী মূল্যে মান সম্পন্ন নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থা আধুনিকায়ণে যুগপোযোগী প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নেও কার্যকরি পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
সোমবার (২৬ জুলাই) অনলাইনে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালকের (অবকাঠামো) সঙ্গে সভাকালে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বব্যাংক ১৯৭২ সাল থেকেই বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে। বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নে বিশ্বব্যাংক থেকে এ পর্যন্ত ৩.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে। বর্তমানে বিদ্যুৎ খাতে ১.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিভিন্ন প্রকল্প চলমান রয়েছে।’
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের সম্ভাবনা, অর্জন ও চ্যালেঞ্জ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রযুক্তির উন্নয়নে ও আধুনিক প্রযুক্তি সন্নিবেশনে বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে পারে। বিদ্যুৎ সংরক্ষণ, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, বায়ু বিদ্যুৎ, ওশান এনার্জি থেকে বিদ্যুৎ, মানব সম্পদ উন্নয়ন, ইলেকট্রিক ভিহাইকেল এবং সংশ্লিষ্ট নীতিমালা প্রণয়নে এক সঙ্গে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।’
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতে বিশ্বব্যাংকের বিভিন্ন প্রকল্পসহ Energy Transition-এর প্রেক্ষিতে কীভাবে বিনিয়োগ বাড়ানো যায় এবং ক্রস বর্ডার এনার্জি ট্রেডে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়েও আলোচনা করা হয়। সম্ভাব্য বিনিয়োগ ও সম্ভাব্য প্রকল্প নিয়েও আলোকপাত করা হয়।
ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বিশ্বব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক (অবকাঠামো) গুয়াংঝি চেন, প্রাকটিস ম্যানেজার (এনার্জি) সিমন জে স্টল্প, প্রোগ্রাম লিডার (অবকাঠামো) রাজেস রোহাতগি ও ইআরডির অতিরিক্ত সচিব আব্দুল বাকী সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।