কিশোরদের নৈতিক শিক্ষার দায়-দায়িত্ব পরিবারকেই নিতে হবে বলে জানিয়ে আইজিপি ড. বেনজির আহমেদ বলেন, কলাবাগানে স্কুলছাত্রী নিহতের ঘটনা ভয়াবহ অপরাধ। যা হালকা করে দেখার সুযোগ নেই।
সোমবার র্যাব সদরদপ্তরে এক অনুষ্ঠানে অভিভাবকদের প্রতি সন্তানের ওপর নজর রাখার পরামর্শ দিয়ে এ কথা বলেন তিনি।
বেনজির আহমেদ বলেন, নতুন আইনে যে অবকাঠামোর কথা উল্লেখ রয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে গড়ে না ওঠায় কিশোর অপরাধ দমনে বাধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, ১৮ বছরের নিচে বয়সের সবাই শিশু। মানবাধিকার কর্মীরা এনজিওকর্মীরা অনেক হৈ চৈ করে অনেক আইন কিন্তু পরিবর্তন সংশোধন করেছেন। কিন্তু কলাবাগানে যে ঘটনাটি ঘটেছে তা কিন্তু পূর্ণাঙ্গ ক্রাইম। এখানে ধর্ষণ ঘটানো হয়েছে, মৃত্যু ঘটানো হয়েছে। অথচ আমাদের দেশের আইন অনুযায়ী উভয়ই কিন্তু শিশু। অথচ আমরা এই আইনগুলো করেছি। অবশ্যই আমাদের আধুনিকায়ন দরকার, আইজিপি হিসেবে আমি দ্বিমত পোষণ করি না। তবে অত্যাধুনিক আইন করতে গিয়ে আমরা দেশের মধ্যে কোনো সমস্যা তৈরি করতেছি কি না সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে।
কিশোরদের মধ্যে গ্যাং কালচার গড়ে উঠার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমাদের সমস্যা হচ্ছে কিশোর গ্যাং। তারা মাদক নিয়ে ধ্বংস হয়ে যাক সেটা আমরা কোনোমতেই বরদাশত করতে পারি না। নতুন প্রজন্ম সামাজিকভাবে বিলুপ্ত বা বিনাশ হবে, তা হতে দেওয়া যাবে না। তাদেরকে সেই সময়ের জন্য যোগ্য নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। সেজন্য আমাদের সমাজের সাথে পরিবারকেও এগিয়ে আসতে হবে।
সন্তান কোথায় যায়, কার সাথে মিশে, কী করে সে সম্পর্কে খোঁজ-খবর রাখাটা বাবা-মায়ের দায়িত্ব উল্লেখ করে তিনি বলেন, দায় যদি না নিতে পারেন তাহলে সন্তান জন্ম দিয়েছেন কেন?
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ‘র্যাব সেবা সপ্তাহ’- এ দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক। র্যাব সদরদপ্তরের শহীদ লেফটেন্যান্ট কর্নেল আজাদ মেমোরিয়াল হলে দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও মেধাবী ৫০ শিক্ষার্থীকে শিক্ষা সহায়তা, বই ও সনদপত্র দেয়া হয়।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।