রোববার (১০ জানুয়ারি) ভোররাতে উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের কোটবাজার স্টেশনে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানান স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল আলম চৌধুরী।
নিহত মো. ফোরকান আহমদ ওরফে কালু (১৪) উখিয়ার রত্নাপালং ইউনিয়নের তেলিপাড়ার বশির আহমদের ছেলে।
তবে অভিযুক্ত রোহিঙ্গা যুবক বলে জানা গেলেও তার নাম ও পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান।
উখিয়ার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহউদ্দিন জানান, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশ পৌঁছে ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। সিআইডির বিশেষজ্ঞ দল আসার পর মৃতদেহটি উদ্ধার করা হবে।
ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল আলম দোকান মালিকের বরাত দিয়ে বলেন, রত্নাপালং ইউনিয়নের তেলিপাড়ার বাসিন্দা শাহ আলমের মালিকাধীন কোটবাজার স্টেশনে ‘মুক্তা ডেকোরেশন’ নামের একটি দোকান রয়েছে। দোকানটিতে কাজ করত একই এলাকার ফোরকান আহমদ ওরফে কালু নামে স্থানীয় এক কর্মচারী।
‘গত সপ্তাহখানেক আগে ফোরকান পূর্বপরিচিত উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা এক যুবককে দোকানে কাজ করতে নিয়ে আসে। তারা দোকানেই রাত্রিযাপন করত।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো শনিবার রাতেও ফোরকান ও রোহিঙ্গা যুবকে রাত্রিযাপনের জন্য দোকানে থেকে যায়। দোকান মালিক শাহ আলম রাতে খাবারের জন্য টাকা দিয়ে বাড়িতে ফিরে যান। মধ্যরাতে বা ভোর রাতের যে কোনো সময় ফোরকানকে জবাই করে হত্যা করে রোহিঙ্গা যুবক। পরে দোকানের ক্যাশ লুট করে রোহিঙ্গা যুবক পালিয়ে যায়।’
খাইরুল বলেন, ‘সকালে শাহ আলম এসে দেখেন দোকানটি বাইরে থেকে তালাবন্ধ। ডাকাডাকির পরও কোন সাড়াশব্দ না পাওয়ায় তালা ভেঙে ভেতরে ঢুকেন। এ সময় দোকানের মেঝেতে ফোরকান জবাই করে হত্যার কারণে মৃতাবস্থায় দেখতে পান।’
পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহউদ্দিন বলেন, সিআইডির বিশেষজ্ঞ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছার পর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে জানতে পুলিশ তদন্ত কাজ অব্যাহত রেখেছে বলে জানান তিনি।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।