পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম বলেছেন, “গত বছর আমি মেহেন্দিগঞ্জে এসেছিলাম, তখন নদী ভাঙ্গনে আপনাদের দুঃখ-কষ্ট দেখেছি। আমি নিজেও তা দেখে ব্যথিত হয়েছি। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী নদী শাসন করতে শ্রীপুরের নদীর মাঝের চরটি কাটার নির্দেশনা দেই। ওই সময়ে যদি টেন্ডারে যেতাম, তাহলে এ প্রকল্প পাশ করাতে একবছর লাগতো এবং অনেক ব্যয়বহুল হতো। এজন্য আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিজস্ব ড্রেজার এনে কাটার কাজ শুরু করি। স্থানীয় সংসদ সদস্য (পঙ্কজ নাথ) আমাকে জানিয়েছেন, এবার মেহেন্দীগঞ্জে নদী ভাঙন কমে গেছে। ইহা সম্ভব হয়েছে, দ্রুততার সাথে নদী শাসন শুরু করা হয়েছে বিধায়।”
শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে বরিশাল জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের বাসিন্দাদের নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় নদী ড্রেজিং কার্যক্রম পরিদর্শন উপলক্ষে স্থানীয়ভাবে আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
জাহিদ ফারুক বলেন, আপনারা জানেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার একটা নির্দেশনা হলো, বাংলাদেশে নদী ভাঙ্গনে কোন মানুষ যেন কষ্টে না পরে। পাশাপাশি এসব দুর্দশাগ্রস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য, পাশে দাড়ানোর জন্যও প্রধানমন্ত্রীর একটা নির্দেশনা রয়েছে। তার নির্দেশনা পেয়ে আমি দায়িত্ব নেয়ার পরই মেহেন্দিগঞ্জে বেশ কয়েকবার এসেছি।
তিনি বলেন, এখানে আরো কিছু কাজ করতে হবে যাতে করে আগামী বর্ষায় আর শ্রীপুর না ভাঙ্গে। মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়া ও হিজলায় আমাদের প্রকল্প চলমান রয়েছে। কিন্তু শ্রীপুরে দেখেছি যতোই তীর সংরক্ষন করি না কেন তা ভাঙ্গনের হাত থেকে রোধ করা যায়না। গতবছর বর্ষায় শ্রীপুরে ইমারজেন্সিভাবে অনেক জিও ব্যাগ ফেলেছিলাম। তা টেকসই হয়নি, নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এজন্য নদী শাসনের বিকল্প নেই। তাই নদীর স্রোতের গতিপথ যদি মাঝামাঝি দিয়ে করতে পারি তাহলে শ্রীপুরের দিকে পানির ধাক্কাটা কম হবে এবং শ্রীপুরের দিকে ভাঙ্গনটা হবে না।
আমি সাবধান করে যেতে চাই, এতগুলো মানুষ এখানে এসেছেন, আপনাদের নাইনটি পার্সেন্টেরই মাস্ক নেই। আমরা ড্রেজিং করে শ্রীপুরকে বাঁচিয়ে দিবো, কিন্তু যদি আপনারা সুস্থ না থাকেন তাহলে শ্রীপুর বাঁচিয়ে কোন লাভ নেই। আপনাদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ থাকবে, এরপর থেকে চেষ্টা করবেন যতক্ষন সম্ভব মুখে একটা মাস্ক লাগানোর। এটা আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।
যাদের বয়স কম তারা মনে করেন যে আপনাদের করোনা হবে না। হয়তো হবেই না, আর হলেও হয়তো লক্ষন থাকবে না। আর তারপর আপনি যখন আপনার বয়স্ক বাবা-মায়ের কাছে যাবেন, সে কিন্তু আক্রান্ত হবেন। আপনার লক্ষন না থাকলেও তারা আক্রান্ত হলে বাঁচানোটা কঠিন হতে পারে। তাই নিজের স্বার্থে আপনার পরিবারের স্বার্থে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। যারা নতুন প্রজন্ম রয়েছে, তারা যদি সমৃদ্ধশালী দেশকে দেখতে চান তাহলে নিজেদেরকে সুরক্ষিত করতে হবে, নিজেদের স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে।
আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাই, যে ভুল করেছেন তা আর ভবিষ্যতে করবেন না। সবসময় সাথে মাস্ক রাখবেন। এটা আপনার ও আপনার পরিবারের জন্য খুবই প্রয়োজন।
পরিদর্শন কালে প্রতিমন্ত্রীর সাথে স্থানীয় সংসদ সদস্য পঙ্কজ নাথ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাবৃন্দসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।