ভারতের পর এবার পাকিস্তান সরকার তাদের দেশে টিকটক নিষিদ্ধ করেছে। ছোট ভিডিও বানানোর অ্যাপটির বিরুদ্ধে ‘অনৈতিক এবং অশ্লীল’ কনটেন্ট প্রচারের অভিযোগ এনেছে দেশটি।
তুমুল জনপ্রিয় অ্যাপটির নামে জুলাই মাসে পাকিস্তানে ৫০০টি অভিযোগ পড়ে।
পাকিস্তান টেলিকমিউনিকেশন অথোরিটি (পিটিএ) শুক্রবার বিবৃতিতে বলেছে, ‘টিকটকে ধারাবাহিকভাবে পোস্ট করা কনটেন্টের বিষয়ে অভিযোগ খতিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’
নিষিদ্ধ করলেও টিকটকের জন্য একটা সুযোগ রেখেছে পিটিএ, ‘তারা সন্তোষজনক পদক্ষেপ নিলে আমরা এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে দেখব।’
এর আগে অক্টোবরের শুরুতে জানা যায়, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টিকটক নিষিদ্ধ করতে চান।
দেশটির তথ্যমন্ত্রী শিবলি ফরাজ ইমরানকে উদ্ধৃত করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘সামাজিক ক্ষতির কথা বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী এই অ্যাপ নিষিদ্ধের পরিকল্পনা করেছেন।’
বাইটড্যান্সের মালিকানাধীন টিকটক পাকিস্তানে তৃতীয় সর্বাধিক ডাউনলোড হওয়া অ্যাপ। চলতি বছরেই এটি ৪.৬ মিলিয়ন বার ডাউনলোড হয়েছে।
পাকিস্তানে সম্প্রতি এক টিকটক ব্যবহারকারী তরুণী আরেক টিকটক ব্যবহারকারী যুবকের কাছে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন। টিকটকের মাধ্যমেই তাদের পরিচয়। ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন সরকার এই ঘটনার সমালোচনা করে টিকটককে এক হাত নেয়।
ভারতে সম্প্রতি অ্যাপটি নিষিদ্ধ করা হয়। বিজেপি সরকার নিরাপত্তার অজুহাত দিলেও মূল কারণ রাজনৈতিক। যুক্তরাষ্ট্র সরকারও একই পথে হাঁটার চেষ্টা করছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবি, টিকটক চীন সরকারকে যুক্তরাষ্ট্রের তথ্য সরবরাহ করে। এমন আলোচনার ভেতর টিকটকের বিরুদ্ধে নির্বাহী আদেশে জানান, ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে বাইটড্যান্সকে তাদের টিকটক অ্যাপের ইউএস ভার্সন হয় বিক্রি করতে হবে, না হয় ব্যবসা গুটিয়ে ফেলতে হবে। এরপর ১৪ সেপ্টেম্বর ওরাকলের সঙ্গে চুক্তি করে টিকটকের ইউএস ভার্সন। তবে মালিকানা পুরোপুরি বিক্রি করেনি কোম্পানিটি।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।