দাওয়াত-তাবলিগ, মাওলানা সাদসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ৯ দফা দাবি জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আলেম-ওলামারা। তারা আসন্ন বিশ্ব ইজতেমার তারিখ ঘোষণাসহ তাবলিগ নিয়ে সব ষড়যন্ত্র বন্ধ এবং টঙ্গী ময়দানে সাদপন্থীদের নৃশংস হামলার বিচার করার আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত ইসলামী মহাসম্মেলন থেকে এসব দাবি উপস্থাপন করা হয়। শায়খুল হাদিস পরিষদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বেফাক মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক এসব দাবি উত্থাপন করেন।
সকাল ৯টা থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ‘দাওয়াত ও তবলিগ, মাদারেসে কওমিয়া এবং দ্বিনের হেফাজতের লক্ষ্যে’ এ মহাসম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
১. কওমি শিক্ষাকে দারুল উলুম দেলবন্দের আওতায় পরিচালনা করতে হবে। এবং তাবলিগ নিয়ে বিচ্ছিন্ন মহলের সব ষড়যন্ত্র বন্ধ করতে হবে।
২. সাধারণ শিক্ষা সিলেবাসে ধর্মশিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করতে হবে।
৩. আলেমদের বিরুদ্ধে বিগত সরকারের যাবতীয় মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
৪. শাপলা চত্বরের গণহত্যায় জড়িত আসামিদের দেশে এনে শাস্তি নিশ্চিত এবং সারাদেশে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে।
৫. ২০১৮ সালে টঙ্গী ময়দানে সাদপন্থিদের নৃশংস আক্রমণের বিচার করতে হবে।
৬. সাদপন্থীরা নবী করিম সা. সহ সাহাবীদের সমালোচনা করে আসছে।
সাদ তাবলিগের নীতিমালা উপেক্ষা করে আসছে। তাই সাদ সাহেবকে দেশে আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কোনো অবস্থাতেই আসতে দেওয়া হবে না।
৭. আলেমপন্থীদের বিশ্ব ইজতেমাই সরকারঘোষিত দুই পর্বে করতে দিতে হবে। এর মধ্যে আগামী বিশ্ব ইজতেমা প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হবে ২৭-২৮-২৯ জানুয়ারি, দ্বিতীয় পর্ব ৭-৮-৯ ফেব্রুয়ারি করার ঘোষণা করা হলো।
এবিষয়ে সরকারের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।
৮. কাকরাইল মসজিদ সাদপন্থিদের কোনো কার্যক্রম চালাতে দেওয়া হবে না। কাকরাইল আজ থেকে কেবলমাত্র শুরায়ি নেজামে পরিচালিত হবে।
৯. কাদিয়ানিদের অবিলম্বে অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।