বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিম ব্যক্তিত্বের তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তালিকায় তার অবস্থান প্রথম ৫০ জনের মধ্যে।
জর্ডানের রাজধানী আম্মানভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘দ্য রয়্যাল ইসলামিক স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ সেন্টার (আরআইএসএসসি)’ ১৬তম বারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলমান ব্যক্তিদের এ তালিকা সোমবার প্রকাশ করেছে।
২০০৯ সাল থেকে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর এ তালিকা প্রকাশ করে আসছে।
‘দ্য মুসলিম ৫০০ : দ্য ওয়ার্ল্ডস মোস্ট ইনফ্লুয়েনশিয়াল মুসলিমস’ শিরোনামের এ তালিকায় স্থান পান ধর্মীয় চিন্তাভাবনা এবং রাজনৈতিক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে শিল্প ও সংস্কৃতি পর্যন্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে গভীরভাবে অবদান রাখছেন এবং নিজ দেশে ও দেশের বাইরে মুসলমান সম্প্রদায়কে উল্লেখযোগ্যভাবে প্রভাবিত করে যাচ্ছেন এমন ব্যক্তিরা।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জটাউন ইউনিভার্সিটিতে প্রিন্স আলওয়ালিদ বিন তালাল সেন্টার ফর মুসলিম-ক্রিশ্চিয়ান আন্ডারস্ট্যান্ডিংয়ের সহযোগিতায় এ বছরের তালিকাটি প্রস্তুত করা হয়েছে।
ড. মুহাম্মদ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক স্থাপনের মাধ্যম সুবিধাবঞ্চিতদের ঋণ দিয়ে স্বাবলম্বী করায় ২০০৬ সালে বিশ্বের সম্মানসূচক নোবেল পুরস্কার পান। শান্তিতে তাকে দেয়া হয় এ পুরস্কার। এছাড়াও ১৯৪০ সালে জন্ম নেয়া ড. ইউনূস তার ক্যারিয়ারে অর্জন করেছেন বহু প্রশংসা।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণ করেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. ইউনূস।
প্রভাবশালী ৫০০ মুসলিমের এ তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহ। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন ইয়েমেনের মুসলিম স্কলার শেখ আল-হাবিব উমর বিন হাফিজ। এছাড়াও রয়েছেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামিদ আল-থানি, ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি আল খামেনি, সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ, পাকিস্তানের ইসলামিক স্কলার শেখ মুহাম্মদ ত্বকী উসমানী, সংযক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান প্রমুখ।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।