ভিসা জটিলতা ও ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে নানা জটিলতার পর অবশেষে বাংলাদেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুরে পাড়ি দিলেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিজ্ঞানী ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের অ্যান্টিবডি এবং অ্যান্টিজেন করোনা কিট উদ্ভাবন দলের প্রধান বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। রোববার ভোরে তিনি শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
সিঙ্গাপুর থেকে ওয়ার্ক পারমিট নিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলেন ড. বিজন। তিনি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হলে, পূর্ব অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে তিনি করোনা শনাক্তে অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডি কিটের উদ্ভাবন করেন। যদিও বাংলাদেশ সরকার ওই কিটের অনুমোদন এখনো দেয়নি।
জানা গেছে, গত জুলাইয়ে ড. বিজন কুমার শীলের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়। তারপর ওয়ার্ক ভিসার জন্য আবেদন করলেও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো উত্তর দেয়া হয়নি। ফলে কাজ করতে না পেরে এক ধরনের বাধ্য হয়েই দেশ ছাড়লেন ড. বিজন। ওয়ার্ক ভিসার অনুমতি পেলে তিনি আবার বাংলাদেশে ফিরবেন বলে জানা গেছে।
রোববার (২০ সেপ্টেম্বর) ভোর সোয়া ৪টায় দিকে গণমাধ্যমে এই বিজ্ঞানী বলেন, এখন আমি বিমানবন্দরে অবস্থান করছি। সিঙ্গাপুরে চলে যাচ্ছি।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট এ বিষয়ে ড. বিজন বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে অসংখ্য বিদেশী চাকরি করেন। তাদের যদি সমস্যা না হয়, তাহলে আমার সমস্যা হবে কেন?’
এর আগে শনিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে ড. বিজন কুমার শীলের বাংলাদেশ ছেড়ে সিঙ্গাপুর চলে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রেস উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু। তিনি বলেন, ভিসা সংক্রান্ত কিছু জটিলতার কারণে ড. বিজন কুমার শীল রোববার সিঙ্গাপুর ফিরে যাচ্ছেন। তবে গণস্বাস্থ্যের করোনাভাইরাসের অ্যান্টিবডি ও অ্যান্টিজেন কিটের উন্নয়ন এবং গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের বিভিন্ন গবেষণায় ড. বিজন কুমার শীলকে প্রয়োজন।
জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু আরো বলেন, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে তার ভিসা প্রাপ্তিতে যে সমস্ত কাগজপত্র প্রয়োজন সব বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে। আশা করছি শিগগিরই তিনি আবার দেশে ফিরে আসবেন। কারণ সব সময় দেশে এসে কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনিও।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।