অবরুদ্ধ গাজায় প্রতিদিন ইসরায়েলি হামলায় গড়ে ১৬০ শিশুর প্রাণহানির বিষয়টি তুলে ধরেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। পাশাপাশি গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে ইসরায়েলের নির্বিচারে পরিচালিত হামলায় নিহত ফিলিস্তিনির সংখ্যা সাড়ে ১০ হাজার ছুঁইছুঁই করছে। তাদের মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যা প্রায় ৭ হাজার।
জেনেভায় জাতিসংঘের এক ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচওর কর্মকর্তা ক্রিশ্চিয়ান লিন্ডমেয়ার বলেন, ‘(ফিলিস্তিনি) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে, গাজায় প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৬০ শিশুর প্রাণহানি হচ্ছে।’
এ পরিস্থিতিতে গাজার ফিলিস্তিনিদের দুর্ভোগ কমাতে চলমান সংঘাতে মানবিক বিরতি কার্যকর করা ‘জরুরি প্রয়োজন’ বলেও অভিমত দাবি করেন লিন্ডমেয়ার। তিনি বলেন, ‘গাজার হাজারো লোকের প্রাণহানি হচ্ছে। যারা বেঁচে আছেন তারাও ট্রমা, নানা রোগ এবং খাবার ও পানির অভাবে ভুগছেন। বেঁচে থাকার জন্য এসব মানুষের পানি, জ্বালানি, খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবার নিরাপদ সরবরাহ প্রয়োজন।’
লিন্ডমেয়ার বলেন, ‘রসদ, কনভয় ও মানবিক সহায়তা সরবরাহ প্রস্তুত রয়েছে। সবকিছু সেট আপ করা হয়েছে। কিন্তু যা নেই, সেটা হলো- এগুলো নিয়ে গাজায় প্রবেশাধিকার ও এটিই আমাদের প্রয়োজন। রোগীদের সুরক্ষা ও হাসপাতালগুলো যেকোনো উপায়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে নিরাপদ রাখা প্রয়োজন।’
গাজার উত্তরাঞ্চলীয় হাসপাতালগুলো নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঊর্ধ্বতন এই কর্মকর্তা বলেন, ‘ডব্লিউএইচও শুধু ‘একবারই’ এসব হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে।’
গাজায় এসব উপদ্রুত হাসপাতালের নিচে হামাসের টানেলের কারণে সেগুলোকে হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে বলে ইসরায়েল যে দাবি করেছে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালের নিচে কী আছে তা আমরা যাচাই করতে পারি না। আমরা যা যাচাই করতে পারি তা হাসপাতালে এবং মাটির ওপরে যা আছে সেগুলো। হাসপাতালগুলোতে জরুরিভাবে চিকিৎসার সুযোগ-সুবিধা জরুরি।’
সূত্র: তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।