নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে আজ শনিবার রাজধানীর আরামবাগ, জিরো পয়েন্ট, বিজয়নগর ও কাকরাইল এলাকায় মারধর, গুলি ও কাঁদানে গ্যাসের শেলের আঘাতে আহত ৩০ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন সাংবাদিক ও তিন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। বাকিরা পথচারী ও বিভিন্ন দলের কর্মী।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত পুলিশ সদস্যের মধ্যে ২২ জনকে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতাল এবং ১৯ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ভর্তি হওয়া ব্যক্তিরা ছররা গুলি, ছুরিকাঘাত, কাচের আঘাত ও পিটুনিতে আহত হয়েছেন। তাঁদের কারও অবস্থা আশঙ্কাজনক নয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হওয়া আহত ব্যক্তিরা হলেন সাংবাদিক রাফসান জানি, ছাত্রদল কর্মী শফিক ভূঁইয়া (২২) ও ইয়াছিন (২২), ছাত্রলীগ নেতা লিয়ন হোসেন ও আল আমিন, যুবলীগ কর্মী হুমায়ুন কবির (৩৫), জামায়াতে ইসলামীর কর্মী নওয়াব আলী শেখ (৬০), পথচারী আবু জাফর, মো. নাসির (৩০), আকলিমা বেগম (৩৫), সজীব হোসেন (২৬), সালেক (৩০), সুজন মিয়া (২৫), বাবু কালাম, রাফিন মিয়া (২২), মারুফ হোসেন (৪৬), এ বি এম রাজু (৪৫), সজীব ভূঁইয়া (৩০), বিল্লাল (৩০), রুবেল হোসেন (২৫), আবুল কালাম (৩৫), নান্নু মিয়া (৩৫), মাসুম হোসেন (৩২), আকবর (১৯), মানিক মিয়া (৩৫), রফিকুল ইসলাম (৩০), রাজু আহম্মেদ (৩৫), পনির (২৫), নয়ন (২৫), আনোয়ার হোসেন (৪০) ও ইমদাদুল হক (২৭)।
আহত দুই ছাত্রদল কর্মী শফিক ভূঁইয়া ও ইয়াছিন দাবি করেন, কাকরাইল এলাকায় পুলিশের ছররা গুলিতে তাঁরা আহত হয়েছেন।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।