গত দুই দশক ধরে তুরস্কের ক্ষমতার কেন্দ্রে থাকা রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান তৃতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ইতিহাসে রান-অফ ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বী কেমাল কিলিচদারোগলুকে হারিয়ে তিনি জয়ী হয়েছেন। রোববার (২৮ মে) রান-অফ নির্বাচনে ভোট গ্রহণ শুরু হয়।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিজের বিজয়কে গণতন্ত্রের জয় হিসেবে অভিহিত করেছেন এরদোয়ান। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলের পর রাজধানী আঙ্কারায় প্রেসিডেন্ট ভবনের সামনে জড়ো হওয়া হাজার হাজার সমর্থকের উদ্দেশে এরদোয়ান বলেন, ‘আমরাই একমাত্র বিজয়ী নই। এই নির্বাচনে তুরস্কের জয় হয়েছে, আমাদের গণতন্ত্র বিজয়ী হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ কেউ হারেনি। তুরস্কের ৮৫ মিলিয়ন নাগরিক জিতেছে। আর এখন আমাদের জাতীয় লক্ষ্য এবং জাতীয় স্বপ্নকে ঘিরে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সময়।’
এর আগে রোববার (২৮ মে) সন্ধ্যায় তুরস্কের সুপ্রিম ইলেকশন কাউন্সিলের (ওয়াইএসকে) চেয়ারম্যান প্রেসিডেন্ট পদে এরদোয়ানের পুনর্নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এরদোয়ানের জয় উদযাপন । ছবি: সংগৃহীত
আঙ্কারায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ওয়াইএসকে প্রধান আহমেত ইয়েনার বলেন, দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোটে এরদোয়ান বিরোধী প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কামাল কিলিচদারোগলুকে হারিয়ে প্রেসিডেন্ট পদে জয়ী হয়েছেন।
টিআরটি ওয়ার্ল্ডের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ৯৯.৪৩ শতাংশ ব্যালট গণনা সম্পন্ন হয়েছে এবং অনানুষ্ঠানিক ফলাফল অনুসারে, তুরস্কের ক্ষমতাসীন এই প্রেসিডেন্ট ৫২.১৬ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল কিলিচদারোগ্লু পেয়েছেন ৪৭.৮৬ শতাংশ ভোট।
সবমিলিয়ে তুরস্কে দ্বিতীয় দফা নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন ৬ কোটি ৪০ লাখের বেশি মানুষ। ভোট পড়েছে ৮৫ শতাংশের বেশি।
এর আগে, গত ১৪ মে তুরস্কে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে সময় প্রেসিডেন্ট পদে কোনো প্রার্থী ৫০ শতাংশ ভোট পাননি। ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ের সবচেয়ে কাছাকাছি গিয়েছিলেন এরদোয়ান। এরপরই ছিলেন কেমাল কিলিচদারওলু। তার ভোট ছিল ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ। ভোটে তৃতীয় স্থান পেয়েছিলেন সিনান ওগান। তিনি পেয়েছিলেন ৫ দশমিক ২০ শতাংশ ভোট।
২০১৪ সাল থেকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন এরদোগান। এর আগে ২০০৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। আর ইস্তাম্বুলের মেয়র ছিলেন ১৯৯৪ থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।