দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
প্রদাণমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বাণীতে বলেন, জনমানুষের কাছে নানা তথ্য পৌঁছে দেয়ার মাধ্যমে তাদের জীবনমান উন্নয়নে বাংলাদেশ বেতার মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র মহান মুক্তিযুদ্ধে দ্বিতীয় ফ্রন্ট হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল, যা ১৯৭১ সালে আমাদের মহান মুক্তি সংগ্রামে অনন্য ভূমিকা রাখে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ তৎকালীন স্বৈরশাসকের বাধা উপেক্ষা করে ৮ মার্চে বেতারে প্রচার মুক্তিকামী বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করেছিল। মুক্তিযুদ্ধের পুরোটা সময় বাংলাদেশ বেতার নিরলসভাবে এ দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ ও অনুপ্রাণিত করেছিল।
দিবসটি পালন উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বেতার দিন ব্যাপী নানা কর্মসূচির আয়োজন করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে দুপুর দেড়টায় র্যালি ও বিকেলে আলোচনা সভা। র্যালির উদ্বোধন করবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার। এ ছাড়া বিকাল ৪টায় আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার এবং ইউনেস্কো ঢাকা অফিসের অফিসার ইনচার্জ মিস সুসান মারী ভিজ। সন্ধ্যায় থাকবে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে বেতারের যাত্রা শুরু ১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর। সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ২০১২ সাল থেকে বাংলাদেশে বিশ্ব বেতার দিবস পালিত হচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশ বেতার, প্রাইভেট এফএম এবং কমিউনিটি রেডিও অংশগ্রহণ করছে।
সারা বিশ্বে বেতার এখনো অন্যতম জনপ্রিয় গণমাধ্যম। বেতারের রয়েছে পৃথিবীর দুর্গম স্থানে পৌঁছানোর শক্তি। গ্রামগঞ্জ ও দুর্গম এলাকায় এখনো বেতার তথ্য আদান-প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ গণমাধ্যম। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে বেতার কেন্দ্র।
বাংলাদেশে কমিউনিটি রেডিওর সাফল্যও অনেক। দক্ষিণ এশিয়ায় একমাত্র বাংলাদেশে কমিউনিটি রেডিওবিষয়ক একটি পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। এক হাজার নারী ও যুবকের অংশগ্রহণে নতুন ধারার এ গণমাধ্যমটি দ্রুত জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
