সপ্তাহের ব্যবধানে আবার বাড়তে শুরু করেছে আমিষের প্রধান উৎস ডিমের দাম। খুচরা বাজারে প্রতিহালি ফার্মের মুরগির লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়। ১৫০ টাকায় মিলছে এক ডজন ডিম। দাম আরও বাড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। সরকারী বাজার নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ-টিসিবির মতে, গত এক বছরে ডিমের দাম বেড়েছে প্রায় ৩৫ শতাংশ, যা গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। ডিমের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের কষ্ট বেড়েছে। স্বল্প ও সীমিত আয়ের মানুষ ডিম খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন।
অহনা আফরিন নামে একজন লিখেছেন, নিম্ন আয়ের মানুষের এখন বেঁচে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। মানুষ মরে, উন্নয়ন দিয়ে কি হবে।
অয়ন সরকার নামে একজন লিখেছেন, দেশ উন্নয়ন করে লাভ কি? যদি গরীব মানুষ খেতে না পারে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে নিম্ন আয়ের মানুষের অনেক কষ্ট হচ্ছে।
মাহমুদ নামে একজন লিখেছেন, উচ্চমূল্যের কারণে অনেক আগেই স্বল্প আয়ের মানুষের প্লেট থেকে গরুর গোশত উঠে গেছে। এবার ডিমটাও উঠে যাওয়ার অবস্থা হয়েছে। পুষ্টির চাহিদা মেটাতে আগে বাচ্চাকে সকালে একটা ডিম খাওয়াতাম। কিন্তু এখন বোধহয় সেটা আর সম্ভব হবে না।
এক দোকানদার বলেন ডিমের দাম আরো বাড়তে পারে ।
অনেকেই লিখেছেন, রাজধানীতে ব্যাচেলারদের প্রধান খাদ্য ছিল ডিম। এখন তারা মনে হয় সে ডিমটিও খেতে পারবে না। তাহলে তারা কিভাবে বেঁচে থাকবে?
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।