জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় উপনেতা জি এম কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর দল এককভাবে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে। এখন দলকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি প্রার্থী চূড়ান্তের কাজও এগিয়ে চলছে। নির্বাচনে তাঁরা কারো সঙ্গে জোট বাঁধবেন কি না, সে বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। নির্বাচনের কাছাকাছি সময়ে এসে তাঁরা এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে মহানগর জাতীয় পার্টির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন জি এম কাদের। এর আগে তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে জাপার প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের কবর জিয়ারত করেন। সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলটির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, ‘জাতীয় নির্বাচনের আগে এ বিষয়ে (জোট বাঁধা) দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। পরে জোটগতভাবে নির্বাচন করব, কি করব না—সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ’
দেশের মানুষ ভালো নেই উল্লেখ করে জি এম কাদের আরো বলেন, ‘সব জিনিসের দাম বাড়ছে। ডলারের দাম অনেক বেশি। আগামী দিনে আরো খারাপ হবে। দেশের যে ভয়াবহ অবস্থা তাতে সরকারকে এখনই প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। মূল্যস্ফীতি যেভাবে বাড়ছে তাতে দুই বেলা খাবার জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে দেশে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মতো বড় ধরনের বিপর্যয় সৃষ্টি হতে পারে। ’
মহার্ঘ ভাতা চালুর দাবি জানিয়ে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটা এখন খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। ডলারের মূল্য বাড়ার কারণে দেশের টাকার অবমূল্যায়ন হয়েছে। সে জন্য এখনই রেশন কার্ডের মাধ্যমে হোক বা অন্য যেকোনোভাবে হোক—নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র জনগণের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে হবে। ’
সমাবেশে তিনি সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘আগামী সিটি নির্বাচনে কারচুপি করার চেষ্টা করবেন না। রংপুর জাতীয় পার্টির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। ’
দল থেকে অব্যাহতি পাওয়া সাবেক মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গার বক্তব্যের বিষয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘জাতীয় পার্টি বিভক্ত হয়নি। বরং দলের নাম ব্যবহার করে কিছু মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তাঁদের কথার কোনো গুরুত্ব নেই। আমরা এসব কথার কোনো গুরুত্ব দিই না এবং উদ্বিগ্ন নই। ’ সম্মেলনে জাপার কো-চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু, রংপুর সিটি মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফাসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি হিসেবে মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসিরের নাম ঘোষণা করেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।