আগামী বছরের জানুয়ারী থেকে মাঠ পর্যায়ে ভোটারদের ১০ আঙুলের ছাপ নেওয়ার কাজ শুরু করবে নির্বাচন কমিশন—ইসি। ভোটাররা ১০ আঙুলের ছাপ ছাড়া, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে কেউ ভোট দিতে পারবে না। যারা এখনও আঙুলের ছাপ দেননি তাদের জানুয়ারি থেকে নেয়া হবে। শনিবার সকালে রাজধানীতে এক সভায় জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন বিভাগের মহাপরিচালক হুমায়ুন করীর খোন্দকার এসব তথ্য দেন।
জাতীয় পরিচয়পত্রের কার্যক্রম গতিশীল করতে ঢাকা অঞ্চলের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেছে কমিশন। সভায় ইসি সচিব নির্দেশ দেন, দ্বৈত ও ভুয়া ভোটার যাতে নিবন্ধিত হতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে।
হুমায়ূন কবীর বলেন, আগামী জাতীয় সংসদে নির্বাচনে ভোট দিতে ভোটারের ফিঙ্গারপ্রিন্ট আপডেট করবে ইসি। যারা দশ আঙুলের ছাপ দেননি তাদের আগামী জানুয়ারি থেকে আঙুলের ছাপ নেওয়া হবে।
এ সময় জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত সমস্যাগুলো তুলে ধরেন কর্মকর্তারা। এতে উঠে এসেছে, এ বছর পয়লা মে থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঢাকার ছয় জেলায় চার লাখেরও বেশি এনআইডি সংশোধনের আবেদন জমা পড়ে। আর নিষ্পত্তি হয়েছে সাড়ে তিন লাখের বেশি।
নানা সংকট থাকলেও জাতীয় পরিচয়পত্রের সেবার গতি বাড়ানোর নির্দেশ দেন ইসি সচিব। তিনি বলেন, দ্বৈত ও ভুয়া ভোটার যাতে নিবন্ধিত হতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
হুমায়ুন করীর আরও জানান, রোহিঙ্গা কেও যেন ভোটার না হতে পারে যে বিষয়েও সজাগ রয়েছে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। এবার সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে ভোটগ্রহণের পরিকল্পনা করছে ইসি।
নির্বাচনী রূপরেখার অংশ হিসেবে নির্বাচন কমিশন রুটিন ওয়ার্ক হচ্ছে স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও সরবরাহ করা। ভোটার তালিকা প্রণয়নের অংশ হিসেবে সংস্থাটি ভোটারদের দুই হাতের ১০ আঙুলের ছাপ নেবে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।