দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা অনুভূত হচ্ছে। সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এছাড়া এদিন ঢাকাসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে এ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এখানে রোববার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা শ্রীমঙ্গল ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। এদিন চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ১৯ ডিসেম্বর রংপুর বিভাগের রাজারহাটে এ বছরের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ দশমিক ৬ রেকর্ড করা হয়।
তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে তাপমাত্রা হলে তীব্র, ৬ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়ে থাকে।
সোমবার রাজারহাট, রাজশাহী, বগুড়া, ঈশ্বরদী ও সৈয়দপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, মাদারীপুর, কুমিল্লা, বদলগাছি, তাড়াশ, রংপুর, দিনাজপুর, তেঁতুলিয়া, ডিমলা, যশোর ও বরিশালে ৭ ডিগ্রি এবং টাঙ্গাইল, নিকলি, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, কুমারখালী ও ভোলায় ৮ ডিগ্রি, রাঙামাটি, ফেনী, সাতক্ষীরা, খুলনা, পটুয়াখালী ও খেপুপাড়ায় ৯ ডিগ্রি এবং রাজধানী ঢাকা, সন্দ্বীপ, হাতিয়া, চাঁদপুর, সিলেট ও মোংলায় ১০ সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
এদিকে, তাপমাত্রা নেমে যাওয়ায় নীলফামারী, চুয়াডাঙ্গা ও মৌলভীবাজার জেলার ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগসহ সীতাকুণ্ড, রাঙামাটি, কুমিল্লা, ফেনী, সন্দ্বীপ, হাতিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এটি আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান বলেন, এ তাপমাত্রা এবারের শীতের সর্বনিম্ন। এর আগে ডিসেম্বর মাসে এর কাছাকাছি তাপমাত্রা ছিল। তিনি জানান, এ অবস্থা আগামী দুইদিন থাকতে পারে। পরশু থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে।
মৌসুমি লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। অন্যদিকে, মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।
কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি জানান, কয়েকদিন ধরে কনকনে হিমেল হাওয়ায় কমলগঞ্জ উপজেলার মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। তীব্র শীতের কারণে কাজকর্মে ব্যাঘাত হচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে মানুষজন বের হচ্ছেন না। সোমবার সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা আনিসুর রহমান জানান, জেলাজুড়ে বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আরও কয়েকদিন শীত থাকবে এবং শীতের তীব্রতা আরও বাড়তে পারে। কনকনে ঠান্ডা ও ঘন কুয়াশায় আচ্ছন্ন পুরো জেলা।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।