চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহ, পরিবহন ও অপসারণ সেবা প্রদানকারীদেরকে (চিবসসেপ্র) নিবন্ধনের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি)।
আজ বিকেলে ডিএসসিসি প্রধান কার্যালয় নগর ভবনের মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে কর্পোরেশনের দ্বিতীয় পরিষদের ত্রয়োদশ বোর্ড সভায় ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহকারীদেরকে নিবন্ধনের আওতায় আনার প্রস্তাব উত্থাপন করলে কাউন্সিলররা মেয়রের প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে বোর্ড সভায় অনুমোদন দেন। এর মাধ্যমে চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহকারী নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু করার চূড়ান্ত ধাপ অতিক্রম করলো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
বোর্ড সভায় অনুমোদন প্রাপ্তির পর ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘ঢাকা শহরে হাজারের ঊর্ধ্বে হাসপাতাল, ক্লিনিক, প্যাথলজি এ রকম বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেসব প্রতিষ্ঠান হতে বিপুল পরিমাণে চিকিৎসা বর্জ্য সৃষ্টি হয় এবং এটাকে ব্যবস্থাপনা করার জন্য একটি এনজিওকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। তাদের সাথে একটি চুক্তি করা হয়েছিল। চুক্তি অনুযায়ী তারা সকল হাসপাতাল ও প্রতিষ্ঠান থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে মাতুয়াইলে আমাদের ভাগাড়ে যে ইনসিনারেশন প্লান্ট আছে সেখানে ব্যবস্থাপনা করত। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন এ খাত থেকে কোনও টাকা আয় করত না এবং এটার কোন নিয়ন্ত্রণও ছিল না। সেটাকে আমরা পুরোপুরি শৃঙ্খলায় নিয়ে আসার জন্য চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহকারীদের নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসব।’
নিবন্ধনের মাধ্যমে চিকিৎসা বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে শৃঙ্খলায় আনা হবে জানিয়ে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন, ‘আমরা যেভাবে গৃহস্থালির সাধারণ বর্জ্য সেবা সংগ্রহকারীদের নিবন্ধন দিয়ে তাদেরকে শৃঙ্খলা ও জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে এসেছি, একইভাবে চিকিৎসা বর্জ্য সংগ্রহকারীদেরও নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসব। এর মাধ্যমে চিকিৎসা বর্জ্যকে একটি আধুনিক কাঠামোর আওতায় নিয়ে আসা হবে।’
চিকিৎসা বর্জের ক্ষেত্রে অঞ্চলভিত্তিক নিবন্ধন দেয়া হবে জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘এক্ষেত্রে আমরা অঞ্চলভিত্তিক একজনকে ১টি অঞ্চলের জন্য নিবন্ধন দেবো। আমাদের ১০টি অঞ্চলে ১০ জনকে নিবন্ধন দেয়া হবে। পুরাতন অঞ্চলগুলোর জন্য বাৎসরিক ৬০ লাখ এবং নতুন অঞ্চলের জন্য বাৎসরিক ২৪ লাখ টাকায় এই নিবন্ধন দেয়া হবে।’
বোর্ড সভায় কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন ও প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম ।
বোর্ড সভার পরে ডিএসসিসি মেয়র দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলরদের সম্মানে আয়োজিত দোয়া ও ইফতার মাহফিলে যোগ দেন। ইফতার মাহফিলে মেয়রের সহধর্মিনী আফরিন তাপসও অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও কাউন্সিলরদের পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যরা দোয়া ও ইফতার মাহফিলে অংশ নেন।
বাসস
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।