
৫ বছরের জন্য পদ্মা বহুমুখী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনার কাজ পেল কোরিয়া ও চীনের কোম্পানি। যৌথভাবে কাজটি পরিচালনা করতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯২ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
সভা শেষে অনুমোদিত প্রস্তাবগুলোর বিস্তারিত তুলে ধরে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. জহিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, সেতু বিভাগের অধীন বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ কর্তৃক পদ্মা বহুমুখী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সার্ভিস প্রভাইডার/অপারেটর হিসেবে যৌথভাবে কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেইসি) এবং চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কো. লিমিটেডকে (এমবিইসি) ৫ বছর মেয়াদে ৬৯২ কোটি ৯২ লাখ টাকায় নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
‘শুধু টোল আদায় নয়, মুনাফাও করা হবে’ জানিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘এ প্রজেক্টের জন্য আমরা যে পরিমাণ খরচ করেছি তারচেয়েও বেশি আমরা অর্জন করব। সারাবিশ্বও তাই করে। সারাবিশ্বে এ ধরনের প্রকল্পগুলো টোলভিত্তিকই করা হয়। টোলের হার এখনো ঠিক হয়নি। হলে আপনারা (গণমাধ্যম) জানতে পারবেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বলতে পারি, যে পরিমাণ টাকা এই প্রকল্পে খরচ হয়েছে এবং শেষ দিন পর্যন্ত যে খরচ হবে সেটি আমাদের টোল থেকেই আদায় করতে হবে। না হলে এগোনো যাবে না। কারণ, এগুলো আমাদের মেইনটেইন করতে হবে। আমাদের একটা প্রকল্প থেকে আরেকটা প্রকল্প করতে হবে। একটা ব্রিজ থেকে আরেকটা ব্রিজ করতে হবে। সুতরাং এগুলো করার জন্য রাজস্ব দরকার হবে। তবে সবার জন্য লাভজনক অবস্থায় থাকবে। যারা ব্যবহার করবে তারাও লাভজনক অবস্থায় থাকবে, সরকারও থাকবে।’