
ফাইল ছবি
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধী সব অপশক্তিকে নির্মূল করে বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যাওয়াই স্বাধীনতা দিবসের শপথ। মহান স্বাধীনতার ৫১তম বার্ষিকীর দিন সকালে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের কাছে এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীসহ দলীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ দিবাগত রাতে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন। তার নেতৃত্বেই নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাঙালিরা তাদের পাঁচ হাজার বছরের ইতিহাসে প্রথম জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছিল। স্বাধীনতার ৫০ বছর পরে জাতির পিতার কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে আমরা সব সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলেছি। মন্ত্রী বলেন, কিন্তু দুঃখের বিষয়, এ দেশে এখনো স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হচ্ছে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আজকের দিনে আমাদের শপথ হচ্ছে স্বাধীনতাবিরোধী সব অপশক্তিকে নির্মূল করে বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যাওয়া। বক্তব্যের শুরুতেই মন্ত্রী হাছান মাহমুদ দিনটি স্মরণে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহিদ, নির্যাতিতা দুুই লাখ নারী, জাতীয় চার নেতা এবং ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট শহিদ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ সব শহিদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান।
একটি জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা ও বাস্তবায়নকারী একমাত্র বিশ্বনেতা বঙ্গবন্ধু : তথ্যসচিব
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মকবুল হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই বিশ্বের একমাত্র নেতা যিনি একটি জাতির মুক্তি ও রাষ্ট্র গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন এবং দীর্ঘ দুই যুগের সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছেন। সেজন্যই তিনি বাঙালি জাতির পিতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। ২৬ মার্চ দুপুরে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর তথ্য ভবন মিলনায়তনে চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) আয়োজিত চলচ্চিত্র প্রদর্শন, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
ডিএফপি মহাপরিচালক স ম গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফারুক আহমেদ, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহিন ইসলাম, বিটিভির মহাপরিচালক সোহরাব হোসেন, প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, প্রধান তথ্য অফিসার শাহেনুর মিয়া, ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক নিজামুল কবীর, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জসীম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ‘অপরাজেয় বাংলাদেশ’ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও শেষে সঙ্গীত ও আবৃত্তি পরিবেশিত হয়।