দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও বিএনপির বড় বড় কিছু ব্যবসায়ী জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বুধবার (৯ মার্চ) দুপুরে ঠাকুরগাঁও জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, কিছু ব্যবসায়ী পরিস্থিতির সুযোগ নেয়। সরকার সেসব ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, জ্বালাও-পোড়াও এবং সন্ত্রাস আশ্রয়ী রাজনীতির কারণে বিএনপি জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। তাই তারা নির্বাচনকে ভয় পায়। বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান শাস্তিপ্রাপ্ত আসামি। এ জন্য তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। যেহেতু বিএনপির শীর্ষ দুই নেতা নির্বাচন করতে পারবেন না তাই নির্বাচন নিয়ে বিএনপির আগ্রহ নেই।
মন্ত্রী আরও বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে অভিযোগগুলো করছেন তা জনগণকে বিভ্রান্ত করার জন্য। করোনা ও রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সমগ্র পৃথিবীর ন্যায় বাংলাদেশেও কয়েকটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। সরকার দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে।
তিনি আরও বলেন, কম আয়ের মানুষ যেন স্বল্পমূল্যে পণ্য কিনতে পারে সে জন্য টিসিবির আওতা বাড়ানো হয়েছে। কোটি মানুষকে স্বল্পমূল্যে পণ্য দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার।
মন্ত্রী বলেন, বিএনপির শীর্ষ নেতাদের অন্যদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে কথা বলা ঠিক না। বিএনপি নেতা রিজভী নয়াপল্টন কার্যালয় থেকে কোথাও যান না। সেখানেই খান ও ঘুমান। সে কারণে তিনি দেশের অবস্থা জানেন না। মির্জা ফখরুল ইসলাম শুধু মিডিয়ার সামনেই কথা বলেন। রিজভী সাহেব তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনেই বসে থাকেন। এ জন্য তার মেজাজ খিটখিটে হয়ে গেছে। সে কারণে উদভ্রান্তের মতো কথা বলছেন।
ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই বাঙালির সমস্ত অর্জন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে বাংলাদেশ অদম্য গতিতে এগিয়ে চলেছে। গত ১৩ বছরে বাংলাদেশ বদলে গেছে এবং প্রতিটি মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। এ দেশের মানুষ ভলো আছে। কিন্তু এই উন্নয়ন-অগ্রগতি বিএনপি ও তাদের দোসরদের পছন্দ নয়। তারা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দেশে ও বিদেশে ষড়যন্ত্র করছে এবং দেশের মানুষের মধ্যে বিভিন্ন বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, গত ১৩ বছরে দেশে যে উন্নয়ন হয়েছে তার কারণেই দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের সাথে আছে। সে কারণেই বিএনপি ও তাদের দোসররা শঙ্কিত রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। আগামী নির্বাচনে পরাজয়ের শঙ্কায় তারা নানা ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। তাই আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে এবং বর্ধিত সভায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে বসছে। সেই সাথে যারা দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদের মোকাবেলা করার জন্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের দিকনির্দেশনা দেবে আওয়ামী লীগ।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাদেক কুরাইশীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ঠাকুরগাঁও-১ আসনের এমপি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন।
অন্যদের মধ্যে ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন শফিক, সদস্য অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিপক কুমার রায় প্রমুখ।