দেশে করোনায় আরো ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৭ এবং নারী ৬ জন। এ নিয়ে মোট প্রাণহানি হলো ২৯ হাজার ৭৭ জনের।
৮৭৬টি ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৪৬৩ নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৩৬৮ জনের। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২ দশমিক ১১ শতাংশ।
শনিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৭৩৭ জনে। সুস্থ হয়েছেন আরো ৪ হাজার ১৮ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ ১৮ লাখ ৩৯ হাজার ৯৯৮ জন।
গতকাল শুক্রবার দেশে করোনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়। কোভিড রোগী শনাক্ত হয় ৬০৪ জন। শনাক্তের হার ছিল ৩ দশমিক ২২ শতাংশ। সেদিক বিবেচনায় আজ মৃত্যুর হার বেড়েছে, তবে কমেছে রোগীর সংখ্যা।
এর আগে, গত ২৫ জানুয়ারি ১৬ হাজার ৬৬ জন রোগী শনাক্তের খবর এসেছিল, যা মহামারির মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তার আগে ১৮ জানুয়ারি প্রায় ৬ মাস পর শনাক্তের হার ৩১ শতাংশ ছাড়ায়।
যদিও জানুয়ারির শেষ দিকে শনাক্তের হার কিছুটা কমে ৩০ শতাংশের নিচে নামে। ওমিক্রন আতঙ্ক কিছুটা কাটিয়ে দেশে কয়েক দিন ধরে শনাক্তের সংখ্যা কমতে শুরু করেছে।
এর আগে, ওমিক্রন আতঙ্কের শুরুর দিকে দেশে কয়েক সপ্তাহ ধরে শনাক্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছিলো। তাই সংক্রমণ ঠেকাতে বেশকিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল সরকার।
তবে ধীরে ধীরে সেসব বিধিনিষেধ তুলে নিচ্ছে সরকার। ইতিমধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার ঘোষণাও দেয়া হয়েছে।
গত বছরের মাঝামাঝি করোনার ডেল্টা ধরনের দাপটে দেশে করোনায় মৃত্যু, রোগী শনাক্ত ও শনাক্তের হার বেড়েছিল। তবে আগস্টে দেশব্যাপী করোনার গণটিকা দেয়ার পর সংক্রমণ কমতে থাকে।
গত বছরের ১১ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমণ শনাক্তের খবর আসে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম করোনার সংক্রমণ দেখা দেয়। কয়েক মাসের মধ্যে এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ২০২১ সালের ৩১ আগস্ট তা ১৫ লাখ পেরিয়ে যায়।
করোনার ভারতীয় ধরন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে ২০২১ সালের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
গত বছর জুলাই-আগস্টে পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ পায়। ৫ আগস্ট ও ১০ আগস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে একদিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত হওয়া করোনা ভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এর ফলে ইউরোপ ও আমেরিকায় নতুন করে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়তে শুরু করে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।