৬ষ্ঠ শ্রেণির স্কুলছাত্রী (১২) কে বাসায় এসে প্রাইভেট পড়াতেন স্থানীয় যুবক মো. বিলাস (২০)। পরিবারের সবার অগোচরে স্কুলছাত্রীর সাথে গড়ে তোলেন অনৈতিক সম্পর্ক।
তবে ভিকটিম স্কুলছাত্রী ও তার পরিবারের দাবী প্রথমতঃ শিক্ষকের কাছে ধর্ষণের হয় কিশোরী স্কুলছাত্রী। পরবর্তিতে ঘটনা ধামাচাপা দিতে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্কুলছাত্রীকে শারীরিক সম্পর্কে বাধ্য করেন ঐ গৃহশিক্ষক। একপর্যায়ে সেই স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় শিক্ষক।
ঘটনার স্থান, জামালপুরের মেলান্দহ। বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের শিকার ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়েছেন ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী। এ ঘটনায় ছাত্রীর পরিবার থেকে থানায় অভিযোগের পর অভিযুক্ত শিক্ষক মো. বিলাসকে (২০) আটক করেছে পুলিশ।
আরও খবর পড়ুন দেশের কোথাও ভিক্ষুক দেখা যায় না বলেন তথ্যমন্ত্রী
রোববার ভোর রাতে উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের টনকিপাড়া গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। পরে দুপুরে আদালতে তাকে হাজির করা হয়।
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এম এম ময়নুল ইসলাম জানান, উপজেলার টনকি গ্রামের ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে পড়াতেন স্কুল শিক্ষক মো. বিলাস। গত এক বছর ধরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে সঙ্গে শারীরিক সর্ম্পক করেন। এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী ৫ মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে।
ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে পুলিশ শনিবার দিনগত গভীর রাতে স্কুলশিক্ষক বিলাসকে আটক করে। সে আদ্রা ইউনিয়নের আজগর আলীর ছেলে ও আদ্রা জিনিয়াস স্কুলের সহকারী শিক্ষক।
ওসি আরও জানান, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী তার নামে মেলান্দহ থানায় মামলা করেছে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।