ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে আগুন লেগে ৪১ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিচালক অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স লেফটেন্যান্ট কর্নেল জিল্লুর রহমান সুগন্ধা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি আগুনে পুড়ে যাওয়া লঞ্চটির বিভিন্ন দিক ঘুরে দেখেন। পরে রোববার দুপুর ১২টায় তিনি সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন।
ব্রিফিংকালে কর্নেল জিল্লুর রহমান বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পক্ষ থেকে যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে তার কার্যক্রম আমরা এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। পুরো তদন্ত শেষ করতে আমাদের প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগবে। তারপরে আমরা একটা ধারণা দিতে পারবো কোন কারণে আগুন লেগেছে। আগুন লাগার পরে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ দ্রুত লঞ্চটি অ্যাঙ্কর করে পাড়ে থামিয়ে রাখলে এত লোকের মৃত্যু হতো না। যেহেতু নদী খুব ছোট, কিন্তু লঞ্চ কর্তৃপক্ষ সেটা করেনি। যার কারণে হতাহতের সংখ্যা বেশি হয়েছে। আগুন যখন প্রাথমিক অবস্থায় তখন তারা কার্যকর ফায়ার ফাইট শুরু করতে পারেননি। এর প্রমাণ হিসেবে আমরা দেখতে পাই যে, এখানে মৃতের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।