সত্যি কথা বলতে, নির্বাচন কী, তা বুঝিনি। এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবেসে ভোটে দাঁড় করিয়েছেন।
নজরুল ইসলাম ঋতু কালীগঞ্জে উপজেলার দাদপুর গ্রামের আবদুল কাদেরের সন্তান। তার আরও তিন ভাই ও তিন বোন রয়েছে। জন্মের পর হিজড়ার বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পাওয়ার পর পাঁচ বছর বয়সে তাঁকে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় চলে যেতে হয়। সামান্য লেখাপড়া করলেও সামাজিক নানা প্রতিবন্ধকতায় প্রাথমিকের গণ্ডি পেরোনো সম্ভব হয়নি তাঁর। ছোটবেলা থেকেই ঢাকার ডেমরা এলাকায় তাঁর দলের গুরুমার কাছে বেড়ে ওঠেন। এখন তাঁর বয়স ৪৩ বছর।
ঢাকায় থাকলেও পরিবারের টানে প্রায়ই তিনি গ্রামের বাড়িতে আসেন। ১৫ বছর ধরে তিনি ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের অসহায় মানুষকে আর্থিক সহযোগিতা করে আসছেন। এভাবেই এলাকায় তাঁর পরিচিতি ও জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে।
নজরুল ইসলাম ঋতু বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে, নির্বাচন কী, তা বুঝিনি। এলাকার মানুষ আমাকে ভালোবেসে ভোটে দাঁড় করিয়েছেন। আমার পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগ করেন। আমি কখনো সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করিনি। ভোটে জয়ী হয়ে চেয়ারম্যান হয়েছি, এখন জীবনের বাকি সময় নিজ ইউনিয়নবাসীর সেবা করতে চাই।’
তিনি বলেন, নির্বাচনে তাঁকে নৌকার প্রার্থী ও তাঁর সমর্থকেরা বাধা দিয়েছেন। কিন্তু প্রশাসন কঠোর থাকায় সুষ্ঠু ভোট হয়েছে। এতে তিনি নির্বাচনসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের প্রতি কৃতজ্ঞ।