জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি এবং তার প্রেক্ষিতে গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বাম সংগঠনগুলো। মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন। শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয়ার আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন এলাকায় জড়ো হন বাম সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীরা।
অবরোধের কারণে শাহবাগ থেকে পল্টন, সায়েন্সল্যাব, বাংলামোটর ও টিএসসি অভিমুখী সড়কে যান চলাচল আধা ঘণ্টার মতো বন্ধ ছিলো। পরে পুলিশের অনুরোধে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তারা অবরোধ তুলে নেন।
এতে অংশ নেন বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন (গণসংহতি), বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদ), গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী।
শাহবাগে অবস্থানকালে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা বলেন, দেশে আজ তেলের রাজনীতি চলছে। এই তেল দিয়ে সাধারণ জনগণ ছাড়া সবাই লাভবান হচ্ছে। এই তেলের দাম বৃদ্ধির প্রভাব দেশের সব কিছুর ওপর পড়ছে। এটি কোনো সাধারণ বিষয় নয়, ভাড়া বৃদ্ধির চক্রান্ত সারাদেশের মানুষকে ভুক্তভোগী করছে। এই জ্বালানি তেল এবং বাসভাড়া বৃদ্ধি চক্রান্তের বিরুদ্ধে কৃষক-শ্রমিক, ছাত্র-জনতা সবাইকে এক জায়গায় দাঁড়াতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই সরকার এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে না আসবে আমাদের আন্দোলন চলবে।
ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি অনিক রায় বলেন, জনগণের ওপর দিয়ে ছড়ি ঘুরিয়ে এই সরকার টিকে আছে। জ্বালানি তেলসহ সব কিছুর ওপর দাম বাড়িয়ে জনগণের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। এরসঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে বাস ভাড়াও। এভাবে আর চলতে পারে না। আসুন একসঙ্গে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করি। এই লড়াইয়ে আমরাই বিজয়ী হবো।
গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, আজ অস্বাভাবিকভাবে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধি ও বাসভাড়া বাড়ানো তা সাধারণ মানুষের জন্য মর্মান্তিক। জ্বালানি তেলের দাম কমানো ও বাসভাড়া কমানোর দাবিতে আমাদের এই অবস্থান কর্মসূচি। দাম না কমলে আমরা লাগাতার কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবো।
এসময় আরো বক্তব্য রাখেন- প্রগতিশীল ছাত্রজোটের সমন্বয় মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি আল কাদেরী জয়, পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি শুভাশীষ চাকমা, ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি (গণসংহতি) মিতু সরকার, গণতান্ত্রিক, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ইকবাল কবীর প্রমুখ।