জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশে গণ ও পণ্য পরিবহন চলাচল বন্ধ রেখেছে পরিবহন মালিকদের সংগঠন। রোববার পর্যন্ত পরিবহন চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে তারা। পরিবহন সঙ্কটের কারণে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
সকাল থেকে ঢাকার ফার্মগেট, শাহবাগ, মহাখালী, মালিবাগ, মৌচাক, নতুনবাজারসহ বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে বিআরটিসি, ভাড়ায় চালিত সিএনজি, লেগুনা, রিক্সা এবং নিজস্ব পরিবহন ছাড়া আরও তেমন কোন গণপরিবহণ চলছে না। গন্তব্যে পৌঁছাতে সাধারণ মানুষকে চার থেকে পাঁচ গুণ বাড়তি ভাড়া গুণতে হচ্ছে।
বাংলাদেশ বাস মালিক সমিতি জানিয়েছে, জ্বালানী তেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে তারা সারাদেশে বাস চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ্ জানান, ভোক্তা পর্যায়ে লিটার প্রতি জ্বালানি তেলের দাম ১৫ টাকা বৃদ্ধি পেলে গণপরিবহন চালানো সম্ভব হবে না। ডিজেলের মূল্য ৬৫টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা করা হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার থেকে এই দাম কার্যকর হয়েছে।
বুধবার রাতে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম বাড়ানো হয়। ভোক্তা পর্যায়ে লিটার প্রতি দাম ১৫ টাকা বাড়িয়ে ৬৫ টাকা থেকে ৮০ টাকা করা হয়েছে।
জ্বালানি বিভাগ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি হওয়ায় বাংলাদেশ পেট্টোলিয়াম কর্পোরেশন-বিপিসি, ডিজেলে লিটার প্রতি ১৩ টাকা ১ পয়সা এবং ফার্নেস অয়েলে ৬ টাকা ২১ পয়সা কম দামে বিক্রি করছে। এতে প্রতিদিন প্রায় ২০ কোটি টাকা লোকসান হচ্ছে। অক্টোবর মাসে সব মিলে ২৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। এরআগে ২০১৬’র ২৪ এপ্রিল জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে সমন্বয় করা হয়েছিল।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।