ঢাকার ধামরাইয়ে জুলহাস উদ্দিন (৩৭) নামের এক সাংবাদিককে প্রকাশ্যে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ের বারবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে জুলহাস উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রীর সাবেক স্বামীসহ দুজনকে আটকের পর পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।
আটককৃতরা হলেন জুলহাস উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোমা আক্তারের স্বামী মানিকগঞ্জ সদর থানার বারাহীরচর গ্রামের বিশু বেপারীর ছেলে শাহিন (৩৫) ও তার বন্ধু একই থানার ফাঁড়িরচর গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে মোয়াজ্জেম হোসেন (৩৬)।
নিহত জুলহাস উদ্দিন ধামরাই প্রেস ক্লাবের সহ-সভাপতি ও বেসরকারি চ্যানেল বিজয় টেলিভিশনের ধামরাই প্রতিনিধি ছিলেন। তিনি ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ হাতকোড়া গ্রামের মৃত রহিজ উদ্দিনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে জুলহাস উদ্দিন মানিকগঞ্জ থেকে যাত্রীবাহী বাসযোগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক হয়ে ধামরাইয়ের বারবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ডে নামেন। এ সময় একই বাস থেকে নামেন তার দ্বিতীয় স্ত্রীর স্বামী শাহিন ও তার বন্ধু মোয়াজ্জেম। বাস থেকে নেমেই তারা জুলহাস উদ্দিনের গলায় ছুরিকাঘাত করে। এ সময় জুলহাস মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তারা জুলহাসের বুকের ওপর উঠে পেটে ও বুকে ছুরিকাঘাত করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করে তাদের দুজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এবং জুলহাসকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেয়। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আরিফুর রহমান বলেন, জুলহাস উৃদ্দিনের গলায়, বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষণের ফলে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়।
ধামরাই থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, হত্যাকাণ্ডে জড়িত সাংবাদিক জুলহাস উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রীর সাবেক স্বামী শাহিন ও তার বন্ধু মোয়াজ্জেমকে আটক করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আরো কেউ জড়িত কি-না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।