করোনাভাইরাস প্রতিরোধে দেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের স্কুল শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে এই কার্যক্রম শুরু হয়।
সোমবার সকালে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এসময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন: ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের জন্য আমাদের প্রায় ৩ কোটি টিকা প্রয়োজন। এরমধ্যে ফাইজারের ৯২ লক্ষ টিকা মজুদ আছে। বাকি টিকা আনার প্রায় সব ব্যবস্থা করা আছে। দেশের একটি ছেলেমেয়েও এই টিকা থেকে বাদ যাবে না।
শিক্ষামন্ত্রী জানান: ১৪ তারিখে এসএসসি পরীক্ষার আগে সব পরীক্ষার্থীকে টিকার আওতায় আনা হয়তো সম্ভব নয়। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে পর্যায়ক্রমে টিকার ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।
জানা যায়, আজ মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে টিকা কার্যক্রম চললেও আগামীকাল থেকে আটটি কেন্দ্রে টিকা দেয়া হবে। ওই স্কুলগুলো হলো: হার্ডকো ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, সাউথপয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ, চিটাগং গ্রামার স্কুল, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা কমার্স কলেজ, কাকলি হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ ও সাউথব্রিজ স্কুল।
টিকা দেওয়ার পর কোনো শিশুর প্রয়োজন হলে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, উত্তরা কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, দেশে করোনার টিকাদান কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সর্বনিম্ন ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত টিকা দেওয়ার কার্যক্রম চলছিল। গত ১২ অক্টোবর মানিকগঞ্জে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সের ১২০ জন শিক্ষার্থীকে প্রথমবারের মতো পরীক্ষামূলক টিকা দেওয়া হয়। এরপর সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে শিশুদের রুটিন টিকাদান কর্মসূচি। তাদেরকে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।