স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশের প্রয়োজনে পুলিশের মধ্যে বিভিন্ন ইউনিট তৈরি হচ্ছে। এর মধ্যে শিল্পমালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করছে শিল্পপুলিশ। এ ছাড়া অনেকেই দেশের উন্নয়নের চাকা নানাভাবে বাধাগ্রস্ত করার দিবাস্বপ্ন দেখত। কিন্তু শিল্পপুলিশ মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে সে স্বপ্ন ভেঙে দিয়েছে।
আজ শনিবার আশুলিয়ার শ্রীপুরে শিল্পাঞ্চল পুলিশের ১১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
‘নিরাপত্তার সাথে, সমৃদ্ধির পথে’ স্লোগানকে ধারণ করে বিকেল ৪টায় আশুলিয়ার শ্রীপুরে শিল্পাঞ্চল পুলিশ ইউনিট-০১ কার্যালয়ে পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলাদেশের পুলিশ অত্যন্ত দক্ষ। যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সক্ষম। পুলিশ জনগণের বন্ধু হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। রপ্তানি পণ্যের ক্ষেত্রে বৈচিত্র্য এসেছে। ১০০টির অধিক দেশে আমাদের ফার্মাসিটিক্যাল পণ্য রপ্তানি হচ্ছে। একটা সময় গার্মেন্ট সেক্টরের অস্থীরতা আমাদের সবসময় বিচলিত করে রাখত। শিল্পপুলিশের দক্ষতা ও পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে সে ভয় দূর হয়েছে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমই’র সভাপতি ফারুক হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। এতে স্বাগত বক্তব্য দেন শিল্পাঞ্চল পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি মো. শফিকুল ইসলাম।
মো. শফিকুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশ আজ অপ্রতিরুদ্ধ শক্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে। দারিদ্র্য বিমোচন, নারী শিক্ষার প্রসার, শিক্ষার উন্নয়নসহ সকল ক্ষেত্রের মান উন্নয়নে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। শিল্পপুলিশ গঠনের পর শিল্পক্ষেত্রে অরাজকতা কমেছে, বেড়েছে বিনিয়োগ ও প্রবৃদ্ধি।
শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ন বলেন, কৃষিভিত্তিক উন্নয়নের দেশ আজ শিল্পভিত্তিক উন্নয়নের দেশে রূপান্তরিত হচ্ছে। দেশ ও অর্থনীতির পুনর্গঠনে বর্তমান সরকার যে যাত্রা শুরু করেছে সবাই তাতে সহযোদ্ধা। উন্নয়নশীল দেশ, উন্নত দেশ হতে হলে শ্রমিক মালিকের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। শিল্পক্ষেত্রে উশৃংখলতা, বিশৃঙ্খলতা রোধে শিল্প পুলিশকে সবসময় সক্রিয় ভূমিকায় থাকতে হবে।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেন, শিল্প পুলিশ তার কর্মদক্ষতার মধ্য দিয়ে শ্রমিকদের ত্রাণকর্তা হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে। তারা মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি ও শিল্পাঞ্চলে শিল্প সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে কাজ করে যাচ্ছে। আর সকল প্রকার ষড়যন্ত্র সম্মিলিতভাবে প্রতিহত করতে হবে।
শিল্পক্ষেত্রের নিরাপত্তা, বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ২০১০ সালের অক্টোবরে শিল্পপুলিশ গঠিত হয়। বর্তমানে শিল্পপুলিশের ৬টি ইউনিটের অধীনে প্রায় ৮০০০ শিল্প-কারখানা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। শেষে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।