বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকারের নিপীড়নের যেন শেষ নেই। গণতন্ত্র, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা গোরস্তানে। এতকিছু করেও সরকার আশ্বস্ত হতে পারছে না। এত সাংবাদিক গুম করা হয়েছে, মিথ্যা মামলায় সাংবাদিকদের প্রতিনিয়ত কারাগারে যেত হচ্ছে, এর মধ্যে আবার নতুন করে গণমাধ্যেমের কণ্ঠরোধে যুক্ত হলো জাতীয় অনলাইন গনমাধ্যম নীতিমালা।
বৃহস্পতিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নয়াপল্টনে ঢাকা কলেজ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল পরিবারের উদ্যোগে সদ্য প্রয়াত কলেজের ছাত্র নেতা আবদুল আউয়াল খান ও শফিউল বারী বাবুর স্মরণে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, গত সোমবার তারা (সরকার) জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা করে তা আইন করার জন্য অনুমোদন দিয়েছে। এর ফলে টেলিভিশন থাকবে কিন্তু তার যদি অনলাইন ভার্সন বা নিউজ পোর্টাল থাকে তাহলে তার জন্য আলাদা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এটা একটা কণ্ঠরোধ। পত্রিকাগুলোরও তাই। পত্রিকায় যেসব খবর ছাপা হচ্ছে, তার অনলাইন ভার্সনে ভিন্ন কথা থাকলে পরে তার জন্যও আলাদা রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এরকম শুধু আটকিয়ে রাখ, শুধু আটকাও, নিয়ন্ত্রণ কর, যত পারো নিয়ন্ত্রণ কর- তারই একটি দৃষ্টান্ত হলো জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বিধি-নিষেধের বেড়াজালের মধ্যে, বেড়াজালের মধ্যে আটকাতে আটকাতে তারা একেবারে বাকশালের যে চূড়ান্ত রূপ -একদল, একদেশ, এক নেতা যেটা করেছিল ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি। শেখ হাসিনা তার পিতার একদলীয় নীতির সেই এক দল, এক নেতা, একদেশ ও একটি পত্রিকা-সেই ধারাতে চলে আসছেন। চূড়ান্ত চেহারায় আত্মপ্রকাশ করছেন তিনি এই গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের মধ্য দিয়ে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, অবস্থার পরিবর্তনে গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইয়ের দিকে ধাবিত হতে হবে। আমাদের সামনে এক কঠিন পথ অতিক্রমের যে প্রস্তুতি থাকা দরকার আজকে এই তরুণরা সেই প্রস্তুতি নিয়ে এগিয়ে যাবেন বলে প্রত্যাশা করছি।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।