আজ বুধবার (২০ অক্টোবর) পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.)। মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাত দিবস। ঢাকাসহ সারাদেশে যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যময় পরিবেশে দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।
আজ সরকারি ছুটির দিন। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ তার বাণীতে বলেন, সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) সারাবিশ্বের মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত পবিত্র ও মহিমান্বিত দিন। মহান আল্লাহ তায়ালা হযরত মুহাম্মদকে (সাঃ) ‘রহমাতুল্লিল আলামীন’ তথা সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে প্রেরণ করেন। দুনিয়ায় তাঁর আগমন ঘটেছিল ‘সিরাজাম মূুনিরা’ তথা আলোকোজ্জ্বল প্রদীপরূপে।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রদত্ত বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর শিক্ষা সমগ্র মানবজাতির জন্য অনুসরণীয়। মহানবী (সা.) এর সুমহান আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই মুসলমানদের অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি নিহিত রয়েছে। করোনা মহামারিসহ আজকের দ্বন্দ্ব-সংঘাতসময় বিশ্বে প্রিয়নবী (সা.)- এর অনুপম জীবনাদর্শ, তাঁর সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ এবং ইবাদতের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ নিশ্চিত হতে পারে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে মসজিদে মসজিদে এবং নিজ নিজ বাসায় কোরআন খতম ও জিকির আজকারের মাধ্যমে মহান রাব্বুল আলামিনের বিশেষ রহমত কামনা করেন।
এদিবস উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন পক্ষকালব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।এছাড়াও দেশের সব বিভাগ, জেলা, উপজেলাসহ সরকারী-বেসরকারি সংস্থাগুলোর উদ্যোগে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জীবনীর ওপর পক্ষকালব্যাপী আলোচনা সভা ও মাহফিলসহ বিশেষ কর্মসূচি গতকাল সন্ধ্যা থেকেই পালিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতার এ দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের (ইফা) উদ্যোগে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদে শুরু হয়েছে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালা।
গতকাল বাদ মাগরিব বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের পূর্ব সাহানে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পক্ষকালব্যাপী বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা শুরু হয়েছে।