টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপে আরও একবার হতাশার গল্প লিখলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। আগের ছয় আসরে পাত্র পাঁচটি ম্যাচ জিতেছে টাইগাররা। নতুন আসরের প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডের কাছে হেরে জয়ের সংখ্যা ছয়ে উন্নীত করার অপেক্ষাটা দীর্ঘায়িত হলো আরও।
অথচ ম্যাচটি জেতার মতো যথেষ্ট সুযোগই ছিল বাংলাদেশের সামনে। টস জিতে আগে বোলিংয়ে নেমে মাত্র ৫৩ রানেই স্কটিশদের ছয় উইকেট তুলে নিয়েছিলো বাংলাদেশ। সেখান থেকে ১৪০ রানের লড়াকু সংগ্রহ দাঁড় করিয়ে ফেলে স্কটল্যান্ড। পরে ব্যাটিংয়ে নেমে একের পর এক হতাশার জন্ম দিয়ে ম্যাচটি হারতে হয়েছে ৬ রানের ব্যবধানে।
বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতে, ব্যাটিংয়ের সময় ইনিংসের মাঝপথে একটি বড় ওভার পেলেই বদলাতে পারতো দৃশ্যপট। এমন নয় যে বড় ওভার পায়নি বাংলাদেশ। ইনিংসের নবম ওভারে দুই ছয়ের মারে ১৮ রান তুলেছিলেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু এরপর আর সে অর্থে বেশি রানের ওভার পায়নি বাংলাদেশ।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সেদিকেই ইঙ্গিত করে টাইগার অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমি মনে করি উইকেট খুব ভালো ছিল, ১৪০ রান তাড়া করার মতোই ছিল। ইনিংসের মাঝামাঝি সময়টায় আমরা একটি বড় ওভারের (বেশি রানের) অভাববোধ করেছি। বোলাররা তাদের কাজ ভালোভাবে করেছে। তবে ব্যাটিং ইউনিট আজকে যথেষ্ট করতে পারেনি।’
স্কটল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের সময় একপর্যায়ে স্কোর ছিল ১২ ওভারে ৬ উইকেটে ৫৫ রান। সেখান থেকে ক্রিস্টোফার গ্রিভসের ঝড়ো ব্যাটে শেষ আট ওভারে ৮৫ রান করে ফেলে স্কটিশরা। অল্পেই ৬ উইকেট পাওয়ার ফলে কি খানিক ঢিল দিয়ে ফেলেছিলো বাংলাদেশ?
এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাভাবিকভাবেই না-বোধক উত্তর দেন মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমার এমনটা মনে হয় না। আমরা শুধু একটা উইকেট দূরে ছিলাম। তাদের ব্যাটারদের কৃতিত্ব প্রাপ্য। তারা শেষটা দুর্দান্ত করেছে।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘হ্যাঁ! যখন আপনি ১৪০ রান তাড়া করতে ব্যর্থ হবেন, তখন অনেক কিছু নিয়েই বসতে হবে, ভুলগুলো শোধরাতে হবে। আমাদের এখনও ইতিবাচক থাকতে হবে এবং ভুলগুলো বের করতে হবে। যেনো তা পুনরায় না হয়। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো। আমাদের ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।