লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে মাদ্রাসার দশম শ্রেণীর ৬ ছাত্রের চুল কেটে দেওয়া সেই শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাত ৯টার সময় ওই শিক্ষককে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল জলিল ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত শিক্ষক মঞ্জুরুল কবিরের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি দাখিল শ্রেণির সকল ছাত্রকে পরীক্ষার আগের দিন চুল কেটে মাদ্রাসায় আসতে বলেছি। ছাত্ররা আমার কথার অবাধ্য হওয়ার কারণে কয়েক ছাত্রের চুল কেটে দিয়েছি। আমি ওদেরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভাবে থাকা ও নীতি-নৈতিকতা শিক্ষা দেয়ার জন্যই চুল কেটে দিয়েছি। তবে আমি কাউকে কোনও হুমকির কথা বলিনি।
এ বিষয়ে বামনী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন, মঞ্জুরুল কবির ইউনিয়ন জামায়াতের আমির। তিনি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে সবসময় দলীয় প্রভাব বিস্তার করেন।
হামছাদী কাজীরদীঘিরপাড় আলিম মাদ্রাসার সুপার মাওলানা বালাকাত উল্যা বলেন, চুল কাটার ঘটনাটি শুনেছি। তবে, কোনও ছাত্র লিখিত অভিযোগ করেনি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
রায়পুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ কে এম সাইফুল হক বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) আনোয়ার হোছাইন আকন্দ বলেন, ঘটনাটি সম্পর্কে আমি অবগত নই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সিরাজগঞ্জ রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেয়ার ঘটনায় দেশব্যাপী তোলপাড় হয়। এ ঘটনায় তদন্ত কমিটির রিপোর্টের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।