গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ নথির সূত্র ধরে ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করতে শুরু করে প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। সেখানে বলা হয়, ফেসবুকের সেবাগুলো ব্যবহারকারীর জন্য ক্ষতিকর জেনেও প্রতিষ্ঠানটি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ইনস্টাগ্রাম কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। আরেকটি প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ক্যাপিটল হিলের ঘটনায় ফেসবুকের পরোক্ষ মদদ ছিল। এ ব্যাপারগুলো ফেসবুক ভালো করেই জানত।
এই তথ্যগুলো সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করেন ফেসবুকের সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেন। গতকাল প্রথমবারের মতো তিনি সামনে আসেন।
প্রতিবেদনগুলোর জবাবে ফেসবুক বলেছে, ফেসবুকের পণ্যগুলো নিয়ে যেসব সমস্যার কথা বলা হচ্ছে, তা বেশ জটিল। এর পেছনে কেবল প্রযুক্তি একা দায়ী নয়।
ফেসবুকের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ সিএনএনকে বলেন, ‘আমার মনে হয় যুক্তরাষ্ট্রে রাজনৈতিক মতভেদের পেছনে নিশ্চয় প্রযুক্তিগত কিংবা কারিগরি ব্যাখ্যা আছে ভেবে লোকে শান্তি পায়।’