বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, সমাজকর্মী-সহ বিভিন্ন পেশার মানুষদের স্মার্টফোনে নজরদারির জন্য শিরোনামে ইজরায়েলের NSO গ্রুপের নাম।
Apple, Google, Facebook, Microsoft এর মতো কোম্পানিগুলি হাজার হাজার কর্মীরা দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে সফ্টওয়্যার কোডের গলদ ধরার চেষ্টা করে চলেছেন। কত সালে তৈরি হয়েছিল Pegasus Spyware? কী ভাবে পেগ্যাসাস সারা বিশ্বের স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের ফোনে চরবৃত্তি করার অন্যতম বিশ্বাসযোগ্য মাধ্যম হয়ে উঠল?
ফরাসি নন প্রফিট Forbidden Stories-এ ইজরায়েলের NSO Group সম্পর্কে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। শ্যালেভ হুলিও ও ওমরি লাভি নামের দুই বন্ধু MediaAnd নামে একটি স্টার্ট-আপ শুরু করেন ২০০০ সালে। ২০০৮সালের আর্থিক মন্দায় এই সংস্থা প্রায় বন্ধ হতে চলেছিল। কিন্তু, ২০০৭ সালে iPhone লঞ্চ হওয়ার পরে নতুন সম্ভাবনা খুঁজে পান শ্যালেভ হুলিও ও ওমরি লাভি। সেই সময় মানুষ ফোন ও টেক্সট মেসেজ ছাড়াও অন্যান্য কাজ করার জন্য ফোন কিনতে শুরু করেন।
এই স্পাইওয়্যার ফোনে প্রবেশ করলে একদিকে যেমন ব্যবহারকারী তা বুঝতে পারবেন না, একই ভাবে এই ফোনে এই স্পাইওয়্যারের উপস্থিতি টের পাবেন না সফ্টওয়্যার ডেভেলপাররাও। পাশাপাশিই আবার, কোনও লিঙ্কে ক্লিক না করলেও যে কোনও ফোনে এই স্পাইওয়্যার ইনজেক্ট করা সম্ভব হবে।
এতদিন পর্যন্ত টেলিকম নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কোনও কল অথবা মেসেজ আদান প্রদানের সময় ফোনে আড়ি পাতার কাজটি অত্যন্ত সন্তর্পণে সেরে ফেলত বিভিন্ন দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। কিন্তু, এনক্রিপশন পদ্ধতি চালু হওয়ার কারণে তা সম্ভব হচ্ছিল না। যে কোনও মেসেজ ডিক্রিপ্ট করার জন্য প্রয়োজন বিশেষ কি, যা শুধুমাত্র প্রেরক ও প্রাপকের ফোনেই থাকে।
এর পর থেকে বিশ্বব্যাপী গোয়েন্দাদের জন্য নজরদারির সরঞ্জাম Pegasus তৈরির কাজ শুরু করে NSO। সরকারি সংস্থাগুলি সন্ত্রাসবাদ দমন ও মাদক পাচারের মতো বেআইনি কাজ রুখতে এই স্পাইওয়্যার ব্যবহার করবে বলে দাবি করে NSO।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।