জন্মস্থান এর নেই কোন জুড়ি এ কথাটি সত্য।জন্ম স্থানের আকর্ষণ প্রত্যেক মানুষের কাছে স্বাভাবিক একটি গুণ। তাইতো সুখে-দুখে নাড়ির টানে কর্মস্থান ত্যাগ করছে মানুষ। রাস্তাঘাটে নেই কোন ভোগান্তির কমতি। দেখা যাচ্ছে সড়কপথে নৌপথে ও রেলপথে মানুষের উপচে পড়া ভিড়।যানবাহনে নেই তিল পরিমাণ ঠাঁই।কেউবা পেয়েছে টিকিট কেউ পায়নি।তাতে কি আছে?শত ক্লান্তি বরণ করে ছুটে চলছে মানুষ লক্ষ্য একটাই পৌঁছাবে – জন্মস্থানে।দীর্ঘদিনের প্রবাস জীবন ঈদ প্রিয় মানুষকে ধরে রাখতে পারে নি।
আনন্দ- উচ্ছ্বাস, গ্রামের চির চেনা পথ, চেনা মুখগুলো যেন ওদের কাছে ডাকছে।তাইতো ঈদ উদযাপনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফেরা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি অপেক্ষা করে মানুষ ছুটছেও। বিভিন্ন তথ্যে দেখা গেছে বাংলাদেশে প্রতি বছর ঈদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন পথে ৬৫থেকে ৭০লাখ মানুষ ঢাকা ছেড়ে যান । দেশের বিভিন্ন জেলায় ছুটোছুটি তো আছেই। শিথিল লকডাউনের পর পরই আসছে কঠোর লকডাউন।মানুষের মাঝে দেখা গেছে তাই নতুন শঙ্কা । তাই লক্ষ করা যাচ্ছে একটু বাড়তি মানুষের চাপ ।
মানুষের মাঝে দেখা গেছে স্বাস্থ্য অসচেতনতার প্রবণতাও । নেই যেন স্বাস্থ্যবিধির বালাই । বিপুল সংখ্যক মানুষের যাতায়াত এই ভাইরাস ছড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি বাড়াবে বলে আশঙ্কা করছে সচেতন মহল। তাছাড়াও দেশে করোনা ভাইরাসের কিছুটা ভারতীয় ভার্সন চলে এসেছে।তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাড়ি ফেরার কোনো বিকল্প নেই। নিজ নিজ সচেতনার পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষভাবে তদারকি করতে হবে, প্রয়োজনে বাধ্য করতে হবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জন্মস্থানে ফেরার। শুভকামনা রইল সকলের জন্য। শুভ হোক সকলের বাড়ি ফেরা যাত্রা ।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।