যেকোনো দুর্যোগে সরকারের পাশাপাশি অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ মঙ্গলবার (৬ জুলাই) সকালে নিজের সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংকালে এই আহ্বান জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্যোগে পরস্পরের পাশে দাঁড়ানোর মধ্য দিয়েই মানুষের মানবিকতা ফুটে ওঠে। তাই সরকারের পাশাপাশি দলীয় নেতাকর্মী, জনপ্রতিনিধি ও সামর্থ্যবানদের অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন, ‘যেকোনো মহামারি রোধে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম ব্যবস্থা। করোনা মহামারি থেকে সুরক্ষা পেতে সবার সর্বোচ্চ মাত্রার সচেতনতার মধ্য দিয়ে প্রতিরোধব্যবস্থা জোরদার করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘সামান্য অবহেলা বা উদাসীনতা শুধু নিজে নয়, পুরো পরিবারকে চিরচেনা জগৎ থেকে ছিটকে দিতে পারে।’
প্রতিদিনই করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বৃদ্ধি পাচ্ছে, সারা দেশেই ছড়িয়ে পড়েছে সংক্রমণ, হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে রোগীর চাপ, এই পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জনস্বার্থ এবং জনস্বাস্থ্য সুরক্ষা ও ঝুঁকি মোকাবেলায় শেখ হাসিনা সরকার চলমান কঠোর বিধি-নিষেধ আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়েছেন।
ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষের আর্থিক এবং খাদ্য নিরাপত্তায় সরকার নিয়েছে নানামুখী উদ্যোগ। আসন্ন ঈদে প্রায় এক কোটি পরিবারকে দেওয়া হচ্ছে খাদ্য সহায়তা।
দেশের বিভিন্ন স্থানে (উত্তরাঞ্চলে) কয়েকটি নদীর পানিপ্রবাহ বেড়ে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘যেসব এলাকায় পানিপ্রবাহ বেড়েছে, সেসব এলাকায় বন্যার সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি এবং জনগণের ভোগান্তি কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’ বন্যাকবলিত এলাকায় সরকারের পাশাপাশি জনমানুষের পাশে থাকার জন্য আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
‘দুর্যোগ এবং সংকটে আওয়ামী লীগই সবার আগে জনগণের পাশে দাঁড়ায়’ উল্লেখ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যারা মিডিয়ায় কথামালার ঝড় তোলেন তাঁরা জনগণের দুঃখ-দুর্দশা থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করেন।
বিএনপি নেতাদের মেগাপ্রকল্পের বরাদ্দ কমিয়ে করোনার জন্য অর্থসংস্থানের কথা বলা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, করোনার জন্য সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দ রেখেছে, এ ক্ষেত্রে অর্থসংস্থানের কোনো ঘাটতি নেই এবং হবেও না। করোনার টিকা সংগ্রহসহ সব সম্ভাব্য ব্যয় মেটাতে প্রধানমন্ত্রী বিধিবিধান প্রতিপালন সাপেক্ষে অত্যন্ত উদার বলেও দাবি করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়নের সক্ষমতা দেখাতে পারেনি বলে এখন মেগাপ্রকল্পের বিরোধিতায় নেমেছে। তারা দেশের উন্নয়ন চায় না, তারা তাদের সময়ে উন্নয়নের নামে লুটপাট করেছে।’ তিনি বলেন, ‘দেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতা এখন অনেক শক্তিশালী, বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪৬ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, আর প্রবাসী আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ দশমিক সাত আট বিলিয়ন ডলার।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘করোনাকালেও দেশের রপ্তানি আয় বেড়েছে। তাই মেগাপ্রকল্পের বরাদ্দ কাটছাঁটের উদ্ভট প্রস্তাব উদ্দেশ্যমূলক।’
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।