তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বিএনপি ও তার মিত্রদের নিজেদের দলে ঐক্য প্রতিষ্ঠা উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবসময় সবদলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কথা বলেন, কিন্তু নিজের দলের মধ্যে কোন ঐক্য নাই। বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো সবদলের ঐক্য নয়, আগে নিজের দলের ঐক্য প্রতিষ্ঠিত করুন।’ মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বিএনপির নেতারা নাকি বলেছেন অগণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে সবদলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অথচ বিএনপির জন্মটাই হয়েছে অগণতান্ত্রিক ভাবে । বিএনপি যে অবৈধভাবে জন্মলাভ করেছে সেটা হাইকোর্টের রায়েও বলা হয়েছে। যে দলটির জন্মটাই অবৈধ, সে আবার অপরের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, এটি সত্যিই হাস্যকর।’
ড. হাছান মাহমুদ আজ বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদারের সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, জামাল উদ্দিন, আবুল কাশেম চিশতি, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, ইদ্রিছ আজগর, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, আকতার হোসেন খাঁন, উত্তরজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবু জাফর চেয়ারম্যান, লোকমানুল হক তালুকদার, ইকবাল হোসেন, মাস্টার আসলাম খাঁন, ইকবাল হোসেন চৌধুরী মিল্টন, নিজাম উদ্দিন বাদশা, এমরুল করিম রাশেদ, জসিম উদ্দিন তালুকদার, আবু তাহের, কামাল উদ্দিন চৌধুরী, আবদুল জব্বার, জাহেদুল আলম চৌধুরী আইয়ুব, আরিফুল ইসলাম চৌধুরী, কাউছার নূর লিটন প্রমুখ।
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমাদের রাঙ্গুনিয়ায়ও দেখুন বিএনপি তিনভাগে বিভক্ত, কেন্দ্রিয়ভাবেও বিএনপির একনেতা একটি কথা বলেন, কিছুক্ষণপর আরেকনেতা আরেকটি কথা বলেন, এইভাবে তাদের নিজেদের মধ্যেও ঐক্য নাই। আবার তারা সবদলের ঐক্যের কথা বলেন।’ তিনি বলেন, তাদের জোটভুক্ত একটি দল আছে ‘ঐক্য প্রক্রিয়া’। অর্থাৎ ঐক্য নাই বলে ঐক্য প্রক্রিয়া চালাতে চাচ্ছেন তারা। সুতরাং বিএনপি ও তার মিত্রদের এসমস্ত বক্তব্য হাস্যকর। বিএনপিকে অনুরোধ জানাবো আগে নিজের দলের ঐক্য প্রতিষ্ঠা করুন। আমরাও চাই আপনারা ঐক্যবদ্ধ থাকুন, এবং আমাদের বস্তুনিষ্ট সমালোচনাও করুন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে বাংলাদেশ বদলে গেছে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নিত হয়েছে। খাদ্য ঘাটতির দেশ থেকে খাদ্য উদ্বৃত্তের দেশে রূপান্তরিত হয়েছে। একইসাথে এই করোনাকালেও বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে, পাকিস্তানকে আমরা অনেক আগেই ছাড়িয়েছি, বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। বর্তমানে বাংলাদেশের মানুষের এখন মাথাপিছু আয় ২ হাজার ২২৭ মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, ‘এই করোনাকালে যেখানে পৃথিবীর সবকটি দেশে মাথাপিছু আয় কমেছে, অর্থনীতি সংকুচিত হয়েছে, সেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও অর্থনীতির আকার বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসাথে মাথাপিছু আয়ও বৃদ্ধি পেয়েছে। এটির জন্য বিএনপিসহ তার মিত্ররা একটু ধন্যবাদ জানাতে পারে নাই। সরকারকে ধন্যবাদ জানাতে লজ্জা লাগলেও দেশটাকেতো তারা ধন্যবাদ জানাতে পারতেন। দেশের জনগণকেতো ধন্যবাদ জানাতে পারতেন, তারা, সেটিও করেননি।’
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গ্রামীণ জনগোষ্ঠির উন্নয়নে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বহু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তাঁর বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে আজকে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম বদলে গেছে। আজ থেকে বার বছর আগে যে গ্রাম ছিল এখন আর সেই গ্রাম নেই। গ্রামের মেঠোপথ হারিয়ে গেছে। মেঠোপথ এখন ইট বিছানো কিংবা পিচ ঢালা পথে রূপান্তরিত হয়েছে। গ্রামে কুুঁড়ে ঘর এখন আর সহজে খুঁজে পাওয়া যায়না। তার জায়গায় হয়েছে টিনের চালা কিংবা পাকা ঘর। আর এই বদলে যাওয়া কোন যাদুর কারণে হয়নি, জননেত্রী শেখ হাসিনার যাদুকরি নেতৃত্বের কারণে হয়েছে। সু এ বাসস