২৭ বছর সংসার জীবনের পর বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিলেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস দম্পত্তি। যৌথ এক বিজ্ঞপ্তিতে ব্যবসা ও দাতব্য কাজ একত্রে চালিয়ে যাওয়ার কথা বললেও আগামী কয়েক মাসে বেশ ব্যস্ত সময় কাটাতে হবে তাদেরকে। কীভাবে সম্পদ ভাগাভাগি হবে এবং বিচ্ছেদ পরবর্তীতে তাদের দাতব্য কাজ কীভাবে চালিয়ে যাবেন এতে কিছুটা কাটখড় পোহাতে হবে সাবেক এই দম্পতিকে। খবর রয়টার্স ও নিউইয়র্ক টাইমস।
আর্থিক হিসেবাদি নিয়ে কথা বলার আগে চলুন জেনে নিই তাদের মোট সম্পদের পরিমাণ কত?
ফোর্বসের মতে বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ ধনী বিল গেটসের সম্পদের পরিমাণ ১৩ হাজার ৫০ কোটি ডলার। ২০০০ সালে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বিল ও মেলিন্ডা দম্পতি। জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সারা বিশ্বে কাজ করা এটি বিশ্বের অন্যতম বৃহত্ দাতব্য সংস্থা। বিভিন্ন উদ্যোগে এটি শত শত কোটি ডলার সহায়তা ও অনুদান দিয়ে আসছে। করোনাভাইরাস মহামারীর সময়ে ভ্যাকসিন কার্যক্রম, চিকিত্সা ও গবেষণায় ১৭৫ কোটি ডলার অনুদান দিয়েছে এ ফাউন্ডেশনটি।
২০১৯ সালে সর্বশেষ আর্থিক বিবৃতিতে দেখা গেছে, ফাউন্ডেশনটির নিট সম্পদের পরিমাণ ৪ হাজার ৩৩০ কোটি ডলার। ১৯৯৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এ ফাউন্ডেশনে ৩ হাজার ৬০০ কোটি ডলার প্রদান করেছেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস। ২০০৬ সালে ফাউন্ডেশনটিতে ২ হাজার ৯০০ কোটি ডলার দান করেছিলেন অপর শীর্ষ ধনী ওয়ারেন বাফেট।
লেক ওয়াশিংটনে তিন সন্তান নিয়ে যে বিলাসবহুল বাড়িতে বসবাস করে আসছেন ২০২০ সালে এর বাজারমূল্য ছিল ১৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিমালিকানাধীন সর্বোচ্চ কৃষিজমির মালিক গেটস পরিবার। গেটসের ব্যক্তিগত সম্পদে প্রতিষ্ঠিত ক্যাসকেড ইনভেস্টমেন্টের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ রয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে ফোর সিজনস হোটেল চেইনে বৃহত্ বিনিয়োগ, কানাডিয়ান ন্যাশনাল রেলওয়ে, যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্ কার ডিলারশিপ অটোনেশনে বিনিয়োগ।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।