করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিশ্বজুড়ে ১৯ লাখেরও বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় সব দেশে মৃত্যু হলেও কঠোর বিধি-নিষেধের কারণে এসংক্রান্ত প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি
ভুটানে। কিন্তু শেষরক্ষা হলো না, ২৩ ডিসেম্বর করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর গতকাল শুক্রবার ৩৪ বছরের এক যুবক মারা গেছেন। দীর্ঘদিন ধরে যকৃতের সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি। ভুটানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গভীর আক্ষেপের সঙ্গে এই মৃত্যু সংবাদ প্রকাশ করেছে।
করোনাভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত হওয়ার শুরু থেকেই গোটা দুনিয়া থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছিল ভারত ও চীনের মাঝে অবস্থিত ছোট্ট পাহাড়ি দেশটি। সেই থেকে বিদেশি পর্যটককে দেশে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। এরপর ডিসেম্বর মাসে বিদেশ থেকে কভিডের লক্ষণ নিয়ে আসেন এক নারী। তিনি এবং তাঁর সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিরা দেশজুড়ে ঘুরে বেড়ান। এর পরই প্রশাসনের তরফে কড়া লকডাউন শুরু করা হয়েছে।
ডিসেম্বর মাসের গোড়া থেকে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ৪৪০ থেকে বেড়ে ৭৭০-এ দাঁড়িয়েছে। অনেকের কাছে এই সংখ্যা নগণ্য হলেও ভুটানের নিরিখে যথেষ্ট। দেশের মোট জনসংখ্যাই মোটে সাড়ে সাত লাখ। ভুটানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে মনে করা হচ্ছে, এই দ্বিতীয় ‘ওয়েভ’ বেশি শক্তিশালী। তাই নেওয়া হয়েছে অতিরিক্ত সতর্কতা। এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যেতে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হচ্ছে। বাজারঘাট করার জন্যও লাগছে ‘স্পেশাল মুভমেন্ট কার্ড’। সূত্র : আজকাল।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।