এবার আরও একটি লজ্জার হার সঙ্গী হলো শ্রীলঙ্কার। জোহানেসবার্গে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে লঙ্কানদের ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, মাত্র তিনদিনেই।
এতে দুই ম্যাচের সিরিজে শ্রীলঙ্কাকে ২-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ করল স্বাগতিকরা। কোচ মার্ক বাউচারের অধীনে এটিই দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম সিরিজ জয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দায়িত্ব নেয়া বাউচার কোচ হিসেবে তার প্রথম টেস্ট সিরিজে ইংল্যান্ডের কাছে দেখেছিলেন ৩-১ ব্যবধানে হার।
২০১৭ সালের পর প্রথমবারের মতো বিদেশের মাটিতে সেঞ্চুরি উপহার দিয়েছেন দিমুথ করুনারত্নে। কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে তার লড়াকু সেঞ্চুরির পরও ২১১ রানে গুটিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। প্রথম ইনিংসে তারা পিছিয়ে ছিল ১৪৫ রানে।
ফলে দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় মাত্র ৬৭ রানের। এইডেন মার্করাম আর ডিন এলগার দলের বড় জয়ে কোনো ধরনের আপোস করেননি। মার্করাম ৩৬ আর এলগার ৩১ রান নিয়ে বিজয়ীর বেশেই মাঠ ছাড়েন।
৪ উইকেটে ১৫০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করেছিল শ্রীলঙ্কা। লিড ছিল মাত্র ৫ রানের। করুনারত্নে ৯১ রান নিয়ে খেলতে নেমে ঠিকই সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। কিন্তু লঙ্কান অধিনায়ক ১২৮ বলে ১৯ বাউন্ডারিতে ১০৩ রান করে নর্টজের শিকার হওয়ার পর তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে সফরকারিদের ইনিংস।
শেষ ৩৭ রানে মোট ৬টি উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। মাঝে নিরোশান ডিকভেলাই (৩৬) যা একটু লড়াই করেছিলেন। বাকি ব্যাটসম্যানরা কেউই বলার মতো প্রতিরোধ গড়তে পারেননি।
দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন লুঙ্গি এনগিদি। ৪৪ রান খরচায় ৪টি উইকেট নেন এই পেসার। এছাড়া লুথো সিপামলা ৩টি আর এনরিচ নর্টজে পান ২টি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা : ১৫৭/১০ (কুশল পেরেরা ৬০; এনরিচ নর্টজে ৬/৫৬) এবং ২১১/১০ (দিমুথ করুনারত্নে ১০৩; লুঙ্গি এনগিদি ৪/৪৪)
দক্ষিণ আফ্রিকা : ৩০২/১০ (ডিন এলগার ১২৭, রসি ডাসেন ৬৭; বিশ্ব ফার্নান্ডো ৫/১০১) এবং ৬৭/০ (এইডেন মার্করাম ৩৬*, ডিন এলগার ৩১*)।
ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ১০ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ : দুই ম্যাচের সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা ২-০ ব্যবধানে জয়ী।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।