রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে যে কোন অনিয়ম দূূর করতে কঠোর ভূমিকা পালনে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে ইউজিসির একটি প্রতিনিধিদল কমিশনের ‘বার্ষিক প্রতিবেদন ২০১৯’ জমা দিতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ নির্দেশ দেন।
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে শিক্ষার্থীরা যাতে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা কার্যক্রম সম্প্রসারণ এবং এর গুণগত মান নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন রাষ্ট্রপতি।
আবদুল হামিদ বলেন, ‘শিক্ষা কোন পণ্য নয়- সুতরাং মানসম্মত শিক্ষার সাথে আপোস করার কোন সুযোগ নেই।’
গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের বিষয়ে হামিদ বলেন, যোগ্য প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে একটি অভিন্ন নীতিমালা তৈরী করা উচিত।
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন বাসস’কে বলেন, বৈঠককালে ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ একটি ক্লাস্টার পদ্ধতির আওতায় ভর্তি পরীক্ষা গ্রহনের অগ্রগতিসহ সার্বিক কার্যক্রম এবং প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন।
করোনাকালে ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহার করে শিক্ষা কার্যক্রম যাতে অব্যাহত রাখতে পারে সেজন্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪২ হাজার ১৫০ জন শিক্ষার্থীকে মোবাইল কেনার জন্য ঋণ প্রদান করা হয়েছে বলে ইউজিসি চেয়ারম্যান রাষ্ট্রপতিকে জানান।
ইউজিসির সার্বিক কর্মকান্ডে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম শামীম উজ জামান, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাসস
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।