বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে মুজিববর্ষের কর্মসূচিগুলো যথাযথভাবে করা হয়নি। অনেক কর্মসূচি স্থগিত এবং বাতিল করতে হয়েছে। আবার কিছু কিছু কর্মসূচি স্বাস্থ্যবিধি মেনে আংশিকভাবে করা হয়েছে।
এসব কারণে মুজিববর্ষের মেয়াদ নয় মাস বাড়িয়ে দিল সরকার। মুজিববর্ষের সময়কাল ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
গেজেটে বলা হয়েছে, মুজিববর্ষ উদযাপনের লক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচিগুলো কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারীর কারণে নির্ধারিত সময়ে যথযাথভাবে করা সম্ভব হয়নি। সে কারণে সরকার মুজিববর্ষের সময়কাল ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত ঘোষণা করল।
এর আগে সরকার স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ সময়কে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছিল। তবে এই সময়ের মধ্যেই করোনাভাইরাস মহামারি হানা দেয় বিশ্বজুড়ে। যার ধাক্কা লাগে বাংলাদেশেও।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায় জন্ম নেন। তাঁর হাত ধরেই ১৯৭১ সালে বিশ্ব মানচিত্রে নতুন দেশ হিসেবে স্থান করে নেয় বাংলাদেশ। আগামী বছরের ২৬ মার্চ বাংলাদেশ উদযাপন করবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এদিকে, ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মের শত বছর পূর্ণ হয়েছে। তাঁর জন্মশতবর্ষ উদযাপনে ২০১৮ সালের জুলাইয়ে সরকার ২০২০-২০২১ সালকে ‘মুজিববর্ষ’ ঘোষণা করে। গত ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিবসে মুজিববর্ষের লোগো উন্মোচনের পাশাপাশি ক্ষণগণণার মাধ্যমে মুজিববর্ষের আয়োজন শুরু হয়।
সারা দেশে সরকারি, বেসরকারি দপ্তর, প্রতিষ্ঠানে ক্ষণগণনা যন্ত্র স্থাপন করা হয়; শুরু হয় মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষা, বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চের। দিনটি বর্ণাঢ্য আয়োজনে ঘটা করে উদযাপন করবে- এমনই ছিল পরিকল্পনা। তবে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে ওই কর্মসূচি স্থগিত করা হয়।
দৈনিক সময়ের সংবাদ.কম প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।